হ্যাকিং প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ
৩ এপ্রিল ২০১৮জার্মান সামরিক বাহিনী বা বুন্দেসভের তাদের সাইবার নিরাপত্তা আরো জোরদার করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে৷ এই কাজটি করতে তাদের আরো দক্ষ জনশক্তি দরকার৷ সেই প্রয়োজন মেটাতে এ বছরের শুরু থেকে মিউনিখে জার্মান সামরিক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার নিরাপত্তার ওপর একটি মাস্টার্স কোর্স চালু করেছে তারা৷ ‘‘আমরা এই কোর্সে ১২০ জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিতে চাচ্ছি,'' বলছিলেন জার্মানির কোড অফ রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রধান নির্বাহী, আইটি বিশেষজ্ঞ গাবি ড্রেও৷
ক্যাম্পাস এলাকায় শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন তৈরির কাজ চলছে এখন৷ গাবি বলেন, ‘‘শিক্ষার্থীরা অন্তত ১২ বছর সামরিক বাহিনীর হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন, এই চুক্তিতেই তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে৷'' এই এক বছরে বুন্দেসভেরের আইটি বিষয়ক সমস্ত কাজ সাইবার ও ইনফরমেশন স্পেস নামের নতুন এক হেডকোয়ার্টারকেন্দ্রিক করা হয়েছে৷ কয়েক বছরের মধ্যে ১৩ হাজর ৫শ' সেনাসদস্য ও দেড় হাজার অসামরিক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা আছে এই এজেন্সির৷
এতটা গুরুত্ব দেয়ার কারণ হিসেবে জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীউরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেন, এটি একটি গ্লোবাল যুদ্ধ৷ হেডকোয়ার্টারের উদ্বোধন করে তিনি বলেছিলেন, ‘‘সাইবার জগতের কোনো সীমানা নেই৷''
নতুন এই উদ্যোগে গাবি ড্রেও তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করা সম্ভব বলে মনে করেন৷ ‘‘নতুন প্রজন্ম শুধু টাকার পেছনে ছোটে না৷ তাঁরা কাজ ও জীবনের মধ্যে একটি সুন্দর ভারসাম্য চায়৷''
সাইবার অস্ত্র কতটা ইতিবাচক কাজে লাগানো হবে, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই৷ কিন্তু প্রফেসর গাবি জানিয়েছেন, এটি মূলত প্রতিরক্ষমূলক ব্যবস্থা তৈরিতেই লাগানো হবে৷
‘‘সাইবার হামলা আমাদের লক্ষ্য নয়৷ কিন্তু একজন সাইবার হামলাকারী কিভাবে চিন্তা করে, সেটিও আমাদের জানা দরকার,'' বলেন তিনি৷
বুন্দেসভেরের সাইবার সক্ষমতা কতটা, তা এখনো পরিস্কার নয়৷ সামরিক বাহিনীর কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অপারেশন বা সিএনও ইউনিট এর আগে তালেবানের ওপর নজর রাখার জন্য আফগানিস্তানের একটি টেলিফোন কোম্পানি হ্যাক করেছে৷
হাইনার কিজেল/জেডএ