1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন স্থগিত করছে বিশ্বব্যাংক

১১ অক্টোবর ২০১১

বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে দেশে ফিরে অর্থমন্ত্রী এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে সরকার৷ আর সেই তদন্তের ওপরই নির্ভর করছে বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী পদক্ষেপ৷

https://p.dw.com/p/12p8a
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতছবি: DW/Kumar Dey

বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু ‘পদ্মা সেতু' প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তোলে বেশ আগেই৷ আর এনিয়ে ওয়াশিংটনে গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী৷ বৈঠকে সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির কথা জানায় বিশ্বব্যাংক৷ আর দেশে ফিরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সোমবার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন৷ তিনি জানান, ‘‘পদ্মা সেতু নির্মাণে নদী শাসন, পরামর্শক নিয়োগ এবং প্রাকযোগ্যতা যাচাই নিয়ে দুর্নীতির কথা বলেছে বিশ্বব্যাংক৷ আর এই দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন স্থগিত করেছে৷''

পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋন সহায়তা দিচ্ছে৷ অর্থমন্ত্রী জানান, এই অর্থ পেতে হলে সরকারকে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে হবে৷ সরকার দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে৷ ইতিমধ্যই তদন্ত শুরু করছে দুদক৷ এই তদন্তের ফলাফল দেখেই পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়নের ব্যাপরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে৷

পদ্মা সেতু নিয়ে প্রথম দুর্নীতির খবর প্রকাশ পায় ক্যানাডীয় প্রতিষ্ঠান এনএনসি লাভিনকে ঘিরে৷ সেতু প্রকল্পের কাজ তদারকির জন্য প্রাক নির্বাচনী তালিকায় থাকা এই প্রতিষ্ঠানটির দুর্নীতি তদন্তে, বিশ্বব্যাংক ক্যানাডা পুলিশকে অনুরোধ করলে দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে৷ বাংলাদেশের যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন অবশ্য দুর্নীতির এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন৷ তিনি গত মাসে অভিযোগ তদন্তে টিআইবি এবং দুদক'কে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধও করেন৷

৬ দশমিক ১৫ কি.মি. দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার৷ বিশ্বব্যাংকের ১২০ কোটি ডলার ছাড়া এডিবি ৬১ কোটি, জাইকা ৪০ কোটি এবং আইডিবি ১৪ কোটি মার্কিন ডলার ঋন সহায়তা দেয়ার চুক্তি করেছে বাংলাদেশের সঙ্গে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য