পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন স্থগিত করছে বিশ্বব্যাংক
১১ অক্টোবর ২০১১বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু ‘পদ্মা সেতু' প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তোলে বেশ আগেই৷ আর এনিয়ে ওয়াশিংটনে গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী৷ বৈঠকে সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির কথা জানায় বিশ্বব্যাংক৷ আর দেশে ফিরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সোমবার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন৷ তিনি জানান, ‘‘পদ্মা সেতু নির্মাণে নদী শাসন, পরামর্শক নিয়োগ এবং প্রাকযোগ্যতা যাচাই নিয়ে দুর্নীতির কথা বলেছে বিশ্বব্যাংক৷ আর এই দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন স্থগিত করেছে৷''
পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋন সহায়তা দিচ্ছে৷ অর্থমন্ত্রী জানান, এই অর্থ পেতে হলে সরকারকে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে হবে৷ সরকার দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে৷ ইতিমধ্যই তদন্ত শুরু করছে দুদক৷ এই তদন্তের ফলাফল দেখেই পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়নের ব্যাপরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে৷
পদ্মা সেতু নিয়ে প্রথম দুর্নীতির খবর প্রকাশ পায় ক্যানাডীয় প্রতিষ্ঠান এনএনসি লাভিনকে ঘিরে৷ সেতু প্রকল্পের কাজ তদারকির জন্য প্রাক নির্বাচনী তালিকায় থাকা এই প্রতিষ্ঠানটির দুর্নীতি তদন্তে, বিশ্বব্যাংক ক্যানাডা পুলিশকে অনুরোধ করলে দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে৷ বাংলাদেশের যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন অবশ্য দুর্নীতির এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন৷ তিনি গত মাসে অভিযোগ তদন্তে টিআইবি এবং দুদক'কে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধও করেন৷
৬ দশমিক ১৫ কি.মি. দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার৷ বিশ্বব্যাংকের ১২০ কোটি ডলার ছাড়া এডিবি ৬১ কোটি, জাইকা ৪০ কোটি এবং আইডিবি ১৪ কোটি মার্কিন ডলার ঋন সহায়তা দেয়ার চুক্তি করেছে বাংলাদেশের সঙ্গে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ