1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাইজেরিয়ার ৯০০ ‘শিশু যোদ্ধা' মুক্ত

১০ মে ২০১৯

জঙ্গি দমনের ‘কৌশল' হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তাদের, সম্মুখ সমরেও ছিল তাদের অংশগ্রহণ৷ আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যস্থতায় ধ্বংসযজ্ঞের এলাকা থেকে এবার মুক্তি মিলেছে নাইজেরিয়ার ৯০০ জন ‘শিশু যোদ্ধার'৷

https://p.dw.com/p/3IIqo
Mutmaßlicher Boko-Haram-Angriff in Nigeria
ছবি: picture-alliance/AP/Jossy Ola

জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম ও আইএস-বিরোধী ‘লড়াইয়ে থাকা' এসব শিশুকে শুক্রবার মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)৷

এক খবরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বোকো হারাম ও আইএস নির্মূলে সেনাবাহিনী-ঘনিষ্ঠ মিলিশিয়া বাহিনী ‘সিভিলিয়ান জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স'-এর সহযোগী হিসাবে কাজ করছিল ওই শিশুরা৷

ইউনিসেফের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মিলিশিয়াদের হাত থেকে এ পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া শিশু যোদ্ধার সংখ্যা ১,৭০০৷ গত অক্টোবরে প্রথম দফায় ৮৩৩ জনকে মুক্তি দিয়েছিল তারা৷

নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বোকো হারাম জঙ্গিদের দমনে ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালে সাড়ে তিন হাজার শিশুকে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে সংস্থাটি জানাচ্ছে৷

বিবৃতিতে নাইজেরিয়ায় ইউনিসেফের প্রধান মোহামেদ ফাল বলেছেন, এই মুক্তি প্রক্রিয়া ‘‘শিশুদের অধিকার সংরক্ষণের একটি ধাপ৷ এটাকে স্বীকৃতি ও উৎসাহ দিতে হবে৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিরোধের বলি হচ্ছিল শিশুরা৷ সশস্ত্র গোষ্ঠীর দ্বারা সামরিক ও বেসামরিক ভূমিকা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল তারা৷ এই শিশুরা সেখানে প্রতিনিয়ত মৃত্যু, হত্যা ও সংঘাত প্রত্যক্ষ করেছে৷''

জঙ্গিবাদ দমনে নাইজেরিয়ায় শিশুদের ব্যবহার একটি রীতিতে দাঁড়িয়ে গেছে৷ জঙ্গি-গোষ্ঠী বোকো হারামের পাশাপাশি মিলিশিয়া বাহিনী ‘সিভিলিয়ান জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স' শিশুদের নিয়োগ করে থাকে৷ সেখানে মোট কতজন ‘শিশু যোদ্ধা' রয়েছে তার সুস্পষ্ট কোনো হিসাব নেই৷

নাইজেরিয়ায় বোকো হারাম ও ইসলামিক স্টেটবিরোধী যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩০ হাজার লোক নিহত এবং প্রায় ১০ লাখ জন বাস্তুচ্যূত হয়েছেন৷ তবে তেলসমৃদ্ধ ওই এলাকায় সহসা এই সংঘাত থামার কোনো লক্ষণ নেই৷

এমবি/এসিবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য