‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য আওয়ামী ব্যবসায়ী সিন্ডেকেট দায়ী’
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩শুক্রবার ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে যোগ দিয়ে তারা এসব কথা বলেন৷ এবার আলোচনার বিষয় ছিল ‘বাজারে আগুন: পুড়ছে কারা, লাভ কাদের?’
মুষ্টিমেয় লোক কারা, কেন তাদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না এমন প্রশ্ন রাখা হয় সিদ্দিকুর রহমানের কাছে৷ জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এটা কিন্তু আসলে ধরা বড় মুশকিল৷ একেক সময় একেক জন করে একেকটা জিনিস৷ এখানে তাকে আইডেন্টিফাই করে, তাকে টার্গেট করে শাস্তি দেয়া, এটা খুব ডিফিকাল্ট জিনিস৷’’
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নরকে নিয়ে আশাবাদী এই ব্যবসায়ী নেতা৷ তিনি বলেন, ‘‘তিনি (বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর) চেষ্টা করছেন যে, এলসি ওভার ইনভয়েস, আন্ডার ইনভয়েস-এগুলো হয় কিনা৷ হয়, হয় না যে তা নয়৷ আপনি দেখেছেন কিছুদিন আগে তিনি ১০০টি এলসি বন্ধও করেছিলেন৷ এসবের সঙ্গে যারা জড়িত, চেষ্টা করছেন তাদেরকে আইডেন্টিফাই করার জন্য ও আইনের আওতায় আনার জন্য৷’’
সিদ্দিক আরো বলেন, ‘‘কমোডিটি আইটেম এমন জিনিস যে, তারা বারবার অজুহাত দিয়ে পার পেয়ে যায়৷ চট্টগ্রাম বন্দরে বসে থাকতে হয়, আনলোড করতে পারে না৷ বিভিন্ন রকমের কথাবার্তা থাকে৷ তেলের দাম বেড়ে, ট্রান্সপোর্টেশন কস্ট বেশি, এসব জিনিস কিন্তু তারা বের হয়ে যায়৷ কিন্তু সরকার চেষ্টা করছে৷’’
বিএনপি নেতা হারুনুর রশীদ বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মাইন্ডেড ব্যবসায়ী তো আছেই৷ স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসায়ীরা যারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যারা আওয়ামী লীগ করে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা নেয়, তারা চাঁদা দেয়, আওয়ামী লীগকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে৷ এটা আজকে নতুন না৷ আমাদের যারা ব্যবসায়ী মহল রয়েছে, তারা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত৷ গত ১৫ বছর ধরে গোটা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কিন্তু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে৷’’
দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দেশের সব মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক৷
রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যবসায়ীদের চাঁদা দিতে হয় বলে যে প্রচলিত ধারণা সমাজে রয়েছে, তা স্বীকার করেছেন বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ৷ তবে সেটাকে চাঁদা বলতে নারাজ তিনি৷ পরিবর্তে ‘আর্থিক সহায়তা’ বলে এটিকে ‘স্বাভাবিক কারণ' হিসেবে দেখতে চান তিনি৷
হারুনুর রশীদ বলেন, ‘‘আসলে ব্যবসায়ীদের চাঁদার কথাটা ওইভাবে না বলে...ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক দলগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয়৷ এটা তো বাস্তব সত্য৷’’
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বিএনপি-আওয়ামী লীগ যেকোনো রাজনৈতিক দলের মধ্যে যারা ব্যবসায়ী, যাদের সমর্থন রয়েছে তারা তো স্বাভাবিক কারণে আর্থিকভাবে তাদের সমর্থিত দলকে আর্থিক সহায়তা করতেই পারে৷’’
ব্যবসায়ীদের চাঁদা প্রসঙ্গে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘‘আমার জীবনে আমি কাউকে চাঁদা দিইনি, না কোনো পলিটিশিয়ানকে, না কোনো চাঁদাবাজকে৷ আমার জীবনে কাউকে আমি চাঁদা দিইনি৷’’
কখনও চাঁদা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘নিইনি, দিইনি৷’’
এফএস/টিএম