এগিয়ে ম্যার্কেল, পিছিয়ে ট্রাম্প
২ অক্টোবর ২০১৮পিউ রিসার্চ সেন্টার বিশ্বের ২৫টি দেশে ২৬,১১২ জন মানুষের কাছে ৫ জন বিশ্বনেতা সম্পর্কে তাঁদের মতামত জানতে চেয়েছিল৷ তাঁরা হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ও জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ ২০শে মে থেকে ১২ই আগস্ট পর্যন্ত এই সমীক্ষা চালানো হয়৷ প্রতিটি দেশে প্রায় ৯০০ মানুষকে বেছে নিয়ে তাঁদের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল৷
এই জনমত সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৫২ শতাংশ মানুষ মনে করেন, আন্তর্জাতিক আঙিনায় ম্যার্কেলই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন৷ দেশ অনুযায়ী এই বিশ্বনেতাদের সম্পর্কে মনোভাবের পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে৷ যেমন ম্যার্কেল নেদারল্যান্ডসে অত্যন্ত জনপ্রিয়৷ সে দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষের কাছে তাঁর ভাবমূর্তি অত্যন্ত উজ্জ্বল৷ অন্যদিকে গ্রিসের মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ তাঁর প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন৷
অন্যদিকে মাত্র ২৭ শতাংশ ট্রাম্প সম্পর্কে এমন আস্থা দেখিয়েছেন৷ এমনকি পুটিন ৩০ শতাংশ ও শি ৩৪ শতাংশ সমর্থন নিয়ে তাঁর তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন৷ মাক্রোঁ ৪৬ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন৷ ফলে ৫ জন বিশ্বনেতার তালিকায় ট্রাম্পের অবস্থানই সবার শেষে৷ বিশেষ করে মেক্সিকোর মাত্র ৬ শতাংশ মানুষ ও ফ্রান্সের মাত্র ৯ শতাংশ মানুষ বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন৷ অন্যদিকে ইসরায়েলের ৬৯ শতাংশ মানুষের কাছে ট্রাম্প অত্যন্ত জনপ্রিয়৷
ব্যক্তি হিসেবে ট্রাম্প জনপ্রিয় না হলেও দেশ হিসেবে অ্যামেরিকার ভাবমূর্তি তুলনামূলকভাবে ভালো, যদিও আগের তুলনায় তাঁর অবনতি অত্যন্ত স্পষ্ট৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প শপথ গ্রহণ করার পর থেকে এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে৷ যেমন, জার্মানিতে মাত্র ৩০ শতাংশ মানুষ এখন অ্যামেরিকা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন৷ শুধু ইসরায়েল, ফিলিপাইন্স ও দক্ষিণ কোরিয়ার ৮০ শতাংশ মানুষের কাছে অ্যামেরিকা এখনো জনপ্রিয়৷ ২৫টির মধ্যে ১৯টি দেশের মানুষই মনে করেন, যে আন্তর্জাতিক নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন তাঁদের দেশের স্বার্থের তোয়াক্কা করে না৷
বিশ্বের সেরা পরাশক্তি হিসেবে অ্যামেরিকা ও চীনের মধ্যে কোন দেশকে দেখতে চান বেশিরভাগ মানুষ? এ ক্ষেত্রে মানুষের মতামত অত্যন্ত স্পষ্ট৷ ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকা সত্ত্বেও প্রায় ৬৩ শতাংশ মানুষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই সেই ভূমিকায় দেখতে চান৷ মাত্র ১৯ শতাংশ চীনকে পরাশক্তি হিসেবে মেনে নিতে প্রস্তুত৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)