1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাসি শুনে অপ্রস্তুত ট্রাম্প

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য শুনে হেসে উঠেছিলেন বিশ্বনেতারা৷ ফলে কয়েক মুহূর্তের জন্য অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিলেন ট্রাম্প৷

https://p.dw.com/p/35WHg
Donald Trump
ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Vucci

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘‘দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে আমার প্রশাসন যা অর্জন করেছে, তা প্রায় আমাদের দেশের ইতিহাসে যে কোনো প্রশাসনের চেয়ে বেশি৷''

এই কথার পর বিশ্বনেতারা হেসে উঠলে ট্রাম্প একটু থেমে নিজেও অপ্রস্তুতের হাসি হেসে বলে ওঠেন, ‘‘এরকম প্রতিক্রিয়া আশা করিনি৷ তবে ঠিক আছে৷''

পরবর্তীতে সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে বিশ্বনেতাদের হাসির ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তিনি আসলে একটু মজা করতে চেয়েছিলেন৷ ‘‘ওহ, দারুণ ছিল৷ একটু হাসির জন্য এমন কথা বলেছিলাম৷ ফলে দারুণ ছিল,'' সাংবাদিকদের বলেন ট্রাম্প৷

সাধারণ পরিষদে দেয়া বক্তব্যে ট্রাম্প ‘অনির্বাচিত, অগ্রহণযোগ্য বৈশ্বিক আমলাতন্ত্রের' কাছে কখনো অ্যামেরিকার সার্বভৌমত্ব বিসর্জন না দেয়ার অঙ্গীকার করেন৷ এই সময় তিনি ‘বিশ্বায়নের নীতি'ও প্রত্যাখ্যান করেন৷

সাধারণ পরিষদে দেয়া দ্বিতীয় বক্তব্যে ট্রাম্প ইরানের সমালোচনা করেন৷ ইয়েমেন ও সিরিয়ায় ‘রক্তপাতের অ্যাজেন্ডা' নিয়ে ইরান কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি৷

উল্লেখ্য, ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি বাস্তবায়ন থেকে দূরে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য ও জার্মানি ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছিল৷ কিন্তু গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে সরিয়ে নেন ট্রাম্প৷ এরপর ইরানের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন৷

ইরান চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অন্য দেশগুলো সেই সময় ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিল৷ একইরকম প্রতিক্রিয়া আবারও দেখালেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ৷ সাধারণ পরিষদে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ইরান চুক্তির কারণে তেহরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছিল৷

মাক্রোঁ বলেন, ইরানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে নেয়া ট্রাম্পের স্বাতন্ত্র্যবাদী নীতির কারণে সংঘাত বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷

জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ারও তীব্র সমালোচনা করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট৷ তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে কোনো দেশ জলবায়ু চুক্তির সমর্থনকারী কিনা, তা বিবেচনায় নেয়া হতে পারে৷

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের সমাধানে দ্বি-রাষ্ট্র নীতির কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন মাক্রোঁ৷ জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করে তুলেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি৷

জেডএইচ/এসিবি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য