জার্মানিতে গৃহহীন মানুষ বেড়েছে ১৫০ শতাংশ
১৯ নভেম্বর ২০১৭গৃহহীনদের সহায়তাকল্পে জার্মানির ফেডারেল ওয়ার্কিং গ্রুপ বা বিএজি-এর মতে, ২০১৫ সালে জার্মানিতে ১০ লাখ শরণার্থী প্রবেশের সরকারি সিদ্ধান্তের ফলে সামাজিক গৃহায়নের সুবিধা সংকুচিত হয়েছে৷ এতে করে দেশে ক্রমান্বয়ে বেড়েছে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা৷
২০১৬ সালের ফেডারেল পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী, ২০১৪ সালের তুলনায় জার্মানিতে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১৫০ ভাগ৷ মোট ৮ লাখ ৬০ হাজার গৃহহীনের মধ্যে শরণার্থীর সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি৷ অবশ্য রিপোর্টে এ কথা উল্লেখ করা হয় যে, শরণার্থী মাত্রই থাকার জায়গা পাচ্ছেন না, এমন নয়৷ অসংখ্য শরণার্থী জার্মানিতে ‘কমিউনাল হাউজিং' ও আশ্রয়কেন্দ্রেও অবস্থান করছেন৷ তাদের মতে, পরিসংখ্যানের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের আবাসনের প্রয়োজনীয়তার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে৷
বিএজি-এর নির্বাহি পরিচালক টোমাস স্পেশ্ট অবশ্য জোর দিয়ে বলেন, ‘‘শরণার্থীদের কারণে সমস্যা তীব্র হলেও, তাঁরাই আবাসন সংকট তৈরির একমাত্র কারণ নয়৷'' বরং তাঁর মতে, সরকারের ভুল আবাসন নীতির কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে৷ ১৯৯০ সাল থেকে ক্রমাগত ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের কাছে আবাসন প্রকল্প বিক্রির ফলে সোশ্যাল হাউজিং ইউনিট ক্রমাগত কমেছে৷ তাই স্পেশ্টের কথায়, ‘‘এ সব নীতির কারণে অনেকের পক্ষেই সাশ্রয়ী খরচে বাড়ি পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷''
অর্থাৎ জার্মানিতে আবাসন সংকটের ফলে বাড়ি ভাড়া বেড়েছে আকাশচুম্বী হারে৷ আর এর মধ্যে এক বা দু'কামরার বাসার ভাড়া বেড়েছে সবচেয়ে বেশি৷ আবাসন সংকট কাটাতে সরকার ও পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা উচিত – এ কথা উল্লেখ করে বিএজি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভেরেনা রোসেঙ্কে বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, ভর্তুকি মূল্যে গৃহহীনদের আবাসন সুবিধা দেয়া উচিত৷ সেই সাথে ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে পড়ে থাকা আবাসনপ্রকল্প অধিগ্রহণ করার কাজও বিবেচনা করা উচিত সরকারের৷''
শরণার্থী ছাড়াও ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি জার্মান নাগরিক গৃহহীন, যার মধ্যে অন্তত ৮ শতাংশ নাবালক৷ এছাড়াও, প্রায় ৫২ হাজার মানুষ বাস করেন রাস্তায়৷
আরএন/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)
জার্মানিতেও যে এত গৃহহীন মানুষ থাকতে পারে, সেটা কি ভাবা যায়? লিখুন নীচে, মন্তব্যের ঘরে৷