নিরাশ্রয় আলোকচিত্রীদের ক্যামেরায় লন্ডন
লন্ডনের গৃহহীন, নিরাশ্রয় মানুষদের মধ্যে ১০০ সিঙ্গল ইউজ ক্যামেরা বেঁটে দিয়ে বলা হয়েছিল ছবি তুলতে৷ ৫,০০০ ছবি জমা পড়ে; তার ১৩টি বেছে নেওয়া হয় একটি ক্যালেন্ডারের জন্য৷ নাম: মাইলন্ডন ২০১৭৷ এখানে তার সাতটি ছবি৷
বানস্কির ডালমেশিয়ান
স্যাফ্রন সাইদি তাঁর জীবনের অধিকাংশ কাটিয়েছেন নানা সরকারি ও বেসরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানে৷ আর্ট বা শিল্পকলা হলো তাঁর বেঁচে থাকার পথ ও পন্থা৷ পূর্ব লন্ডনের হক্সটনে একটি বারের কাছের দেয়ালে এই আদত বানস্কি ম্যুরালটি আবিষ্কার করেন তিনি – এবং কোনো এক পথচারীকে বলেন তাঁর ডটডট নামধারী কুকুরের গলার দড়িটা ধরতে৷ এই ছবি এখন থাকছে মাইলন্ডন ২০১৭ ক্যালেন্ডারের প্রচ্ছদে৷
নীচ থেকে ওপরে
ছবিতে জ্যাকি কুক-এর বন্ধু মায়া লিয়ন্স বেরোচ্ছেন লন্ডনের ম্যানসন হাউস আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন থেকে৷ লিয়ন্স আর কুক একই ড্রামা ক্লাশে যান, আর যান গৃহহীনদের হ্যারিংগে রিকভারি সেন্টারে৷ লিয়ন্স সেখানে মৃৎশিল্প শেখান, কুক শেখান মেডিটেশন বা ধ্যান৷ মাইলন্ডন ২০১৭ ক্যালেন্ডার প্রকল্পটি চলেছে ক্রাউডফান্ডিং থেকে৷
ড্রাইভার চাই
রিচার্ড ফ্লেচার পথেই রাত কাটান৷ গরমে বেশ চলে যায়, শীতের মাসগুলোতে কোনো নাইট শেলটার খুঁজতে হয়৷ তিনি আর্টস ফ্রিটসোভিয়া নামের একটি আর্টস গ্রুপের সদস্য৷ আর্টস গ্রুপটি মূলত নিরাশ্রয়দের জন্য৷
লন্ডন কলিং
হিউ গে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একজন প্রাক্তন সৈনিক; এককালে থাকতেন নিরাশ্রয় সাবেক সৈনিকদের জন্য সৃষ্ট বিগ হাউসে৷ ক্রয়ডনের ঠিক পশ্চিমে ল্যাভেন্ডার ফুলের প্রান্তরে সাইকেল চালাতে গিয়ে এই টেলিফোন বুথটিকে দেখেন তিনি৷
হঠাৎ দেখা
দিনটা নাকি সত্যিই গরম ছিল৷ বিয়াট্রিস হঠাৎই দেখেন সাদা দেয়ালের ওপর নীল আকাশ৷ তার পরেই লাল ফুলঝারিটাও চোখে পড়ে৷ হয়ে যায় কমপোজিশন৷ তবুও যেন কিছু বাকি ছিল....হাত তুলতেই দেয়ালের গায়ে হাতের ছায়াটা পড়ল...৷
বৃষ্টির পরে টেমস
ঝড়বৃষ্টির পরে টেমস নদীর দৃশ্য৷ আলোকচিত্রী সিলিয়ানা থাকেন দক্ষিণ লন্ডনের একটি গির্জায়, আরো ৩০-৪০ জন গৃহহীনের সঙ্গে৷ সকলে মিলে গির্জাটি জবরদখল করেছেন৷ সম্প্রতি গির্জো ছাড়ার নোটিসও এসে গেছে৷ সিলিয়ানা কাফে আর্ট-এর ফটোগ্রাফি মেন্টরিং প্রোগ্রামের সদস্য৷
সেন্ট পলস যখন পথে
ক্রিস্টোফার ম্যাকটাভিশ ক্যানাডার একটি ছোট শহর থেকে লন্ডনে আসেন ১৯৭১ সালে৷ বাড়ি ছাড়তে হয়েছে ড্রাগস নেওয়ার জন্য৷ ১৯৯৮-৯৯ সাল থেকে লন্ডনে গৃহহীন ও নিরাশ্রয়৷ আজ থাকেন একটি হাউসিং অ্যাসোসিয়েশনের ফ্ল্যাটে৷ ‘কোয়াইআর উইথ নো নেম’-এ গান গেয়ে থাকেন৷ ছবিতে ধরে রেখেছেন ভেজা পাথরে সুবিখ্যাত সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালের প্রতিফলন৷