1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জনক হারানোর দিনটি স্মরণ করলো বাংলাদেশ

১৫ আগস্ট ২০১১

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবসে তাঁর পলাতক ঘাতকদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর দরার দাবি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ৷ আর দাবি উঠেছে, নেপথ্যের খলনায়কদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠনের৷

https://p.dw.com/p/12Gka
আজ বঙ্গবন্ধুর ৩৬তম শাহাদাত বার্ষিকীছবি: AP

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে, তাঁর বাসভবনে৷ তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান৷ হত্যাকাণ্ডের সময় সেই বাড়িতে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আবাসিক সহকারি মোহিতুল ইসলাম৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, ঘাতকরা সেদিন বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র শেখ রাসেলকেও রেহাইই দেয়নি৷ আর সে সময়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির গৃহপরিচারক আব্দুর রহমান রমাও জানান সে দিনের ঐ নির্মমতার কথা৷

বঙ্গবন্ধুর ৩৬তম শাহাদাত বার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবসে আজ সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

Sheikh Mujibur Rahman Flash-Galerie
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানছবি: bdnews24

এরপর শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা যান টুঙ্গিপাড়ায়৷ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্য এবং রাজনৈতিক নেতারা৷ সেখানে তাঁরা বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন৷ আয়োজন করা হয় দোয়া মাহফিলের৷

টুঙ্গিপাড়া এবং ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে সারাদিনই সব শ্রেনীর মানুষ শ্রদ্ধা জানান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে৷ দাবি জানান, বঙ্গবন্ধুর পলাতক ঘাতকদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করার৷ যেমন বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ে উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক৷ আর বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য শেখ সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পিছনে ছিল গভীর ষড়যন্ত্র৷ এছাড়া, নেপথ্যের খলনায়কদের আজও চিহ্নিত করা হয়নি৷ তাই তাদের চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানান তিনি৷

উল্লেখ্য, জাতীয় শেক দিবসে আজ সারা দেশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়৷ দিনটি ছিল সরকারি ছুটির দিন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য