গাদ্দাফি পুত্র সাইফ আল-ইসলাম আটক
১৯ নভেম্বর ২০১১১৯৭২ সালে জন্ম গাদ্দাফির সাত ছেলে-মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছেলে সাইফ আল-ইসলামের৷ গাদ্দাফির পর লিবিয়ার শাসন ক্ষমতায় আরোহণের সম্ভাবনা ছিল সাইফের৷ কিন্তু সেসব কিছুই আজ অতীত৷ ২০ অক্টোবর বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়েন গাদ্দাফি৷ আটক হওয়ার অল্প কিছু পরই বিদ্রোহীদের গুলিতে তিনি প্রাণ হারান৷ কিন্তু রাজধানী ত্রিপোলি বিদ্রোহীদের হাতে চলে যাওয়ার পর থেকেই কোন খোঁজ মেলেনি পুত্র সাইফের৷ গাদ্দাফির মৃত্যুর পর নাইজারে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল সাইফ এবং গাদ্দাফির অপর সহযোগী সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আব্দুল্লাহ আল সানুসির৷ তবে সর্বশেষ খবর অনুসারে সানুসি মালি'তে আশ্রয় নিয়েছেন৷ আর শনিবার বিদ্রোহী যোদ্ধাদের হাতে আটক হলেন সাইফ৷
লিবিয়ার জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের বিচার মন্ত্রী মোহাম্মাদ আল আলাগি জানিয়েছেন, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের মরুময় অঞ্চল থেকে সাইফকে আটক করা হয়েছে৷ এছাড়া বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জিন্তান ব্রিগেডের কমান্ডার বাশির আল তালায়েব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাইফকে তাঁর দুই সহযোগীসহ আটক করা হয়েছে৷ নাইজারে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় সাইফকে ধরা হয় বলেও উল্লেখ করেন তালায়েব৷ জানা গেছে, সাইফকে প্রথমে হেলিকপ্টারে করে জিন্তান শহরে নিয়ে যাওয়া হবে৷ পরে তাঁকে রাজধানী ত্রিপোলিতে স্থানান্তরিত করা হবে৷ একটি সূত্র জানিয়েছে, লিবিয়ায় কয়েকদিনের মধ্যে সরকার গঠন করা হলে তারপরই সাইফকে ত্রিপোলিতে সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে৷
উল্লেখ্য, লিবিয়ায় সাম্প্রতিক গাদ্দাফি বিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যা-নির্যাতন ও মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে গত ২৭ জুন গাদ্দাফি, সাইফ এবং আল সানুসির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত আইসিসি৷ সম্প্রতি আইসিসি'র কৌঁসুলি লুইস মোরেনো ওকাম্পো জানিয়েছিলেন যে, আইসিসি'র কাছে সাইফের আত্মসমর্পণের ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে৷ এছাড়া গাদ্দাফি প্রশাসনের মানবতা বিরোধী অপরাধের বাস্তব প্রমাণ দেখতে আইসিসি'র একটি তদন্ত দল লিবিয়া সফর করেছে৷ তবে সাইফকে লিবিয়ার নাকি আইসিসি'র আইনের আওতায় বিচার করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ কারণ এনটিসি এ ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নিবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম