পাচার করা টাকা
২৩ নভেম্বর ২০১২তিনি দুদক'কে সরকারের এজেন্ট বলে অভিহিত করেন৷ আর তথ্যমন্ত্রী বলেছেন খালেদা জিয়া তাঁর দুই পুত্রকে দুর্নীতিবাজ না বলে যে সার্টিফিকেট দিচ্ছেন তা দু:খজনক৷
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকো একটি টেলিফোন কোম্পানির কাছ থেকে নেয়া ঘুষের টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করেছেন, এই অভিযোগ এনে দুদক কোকোর বিরুদ্ধে মামলা করে ২০০৯ সালে৷ এই মামলায় ইতিমধ্যেই কোকোসহ দুইজনের ছয় বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৮ কোটি টাকা জরিমানা করেছে আদালত৷ আর বৃহস্পতবিবার সিঙ্গাপুরের ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংক থেকে পাচার করা অর্থের একাংশ ২০ লাখ ৪১ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার বাংলাদেশে ফেরত এনেছে দুদক, যা ঢাকার একটি ব্যাংকে রাখা হয়েছে৷ আরো ৯ লাখ ৩২ হাজার মার্কিন ডলার ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ আর এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুদক সরকারের এজেন্টে পরিণত হয়েছে৷ তারা বিরোধী দলের নেতাদের চরিত্র হননে নেমেছে৷
অন্যদিকে তথ্যমন্ত্রী হাসনুল হক ইনু বলেছেন বাংলাদেশের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের দুর্নীতির ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স' দেখানো উচিত৷ কাউকে ছাড় দেয়ার মানসিকতা বাদ দিতে হবে৷ তাঁর মতে খালেদা জিয়া তাঁর দুই ছেলেকে দুর্নীতিবাজ না বলে যে সার্টিফিকেট দিচ্ছেন তা দু:খজনক৷
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই চিকিৎসা জামিনে দেশের বাইরে গিয়ে আরে ফিরে আসেন নি৷ বড় ছেলে তারেক রহমানও একইভাবে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন৷