করাচিতে তালেবান হামলা
৯ জুন ২০১৪পাকিস্তানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী, রবিবার মধ্যরাতের পর পুলিশের বেশে কয়েক জঙ্গি করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করে৷ এরপর শুরু হয় ব্যাপক গুলিবর্ষণ এবং বোমার বিস্ফোরণ৷ বিমানবন্দরের ভেতরে আগুন জ্বলতে দেখা যায়৷
তবে মেজর জেনারেল রেজওয়ান আক্তার সোমবার ভোরে জানিয়েছেন, ‘‘বিমানবন্দর শত্রুমুক্ত করা হয়েছে৷ সব সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে৷'' আক্তারের নের্তৃত্বাধীন সেনারা পাঁচ ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন৷
পাকিস্তানের তালেবান ইতোমধ্যে বিমানবন্দরে হামলায় দায় স্বীকার করেছে৷ পাকিস্তানের আফগান সীমান্ত সংলগ্ন উপজাতীয় এলাকায় পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর হামলার জবাবে এটা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র শহিদউদ্দিন শহিদ৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা পাকিস্তান সরকারের কাছে একটা বার্তা যে আমরা এখনও বেঁচে আছি৷''
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে উপজাতীয় এলাকায় পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর হামলায় একশো'র মতো ইসলামপন্থি জঙ্গি প্রাণ হারায়, যাদের মধ্যে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ তালেবান কমান্ডারও ছিল৷
এদিকে, জিন্নাহ মেডিকেল ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক সামি জামালি জানিয়েছেন, বিমানবন্দরে নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ১৩ সদস্য এবং ৫ বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছে৷ এছাড়া গুলিবিদ্ধ ২৫ ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷
করাচি বিমানবন্দর স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল নাগাদ পুনরায় চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন এক বেসামরিক বিমান চলাচল বিষয়ক কর্মকর্তা৷ পাকিস্তানের অন্য দুটি বিমানবন্দরে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে৷ তবে সেগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে৷
আক্তার জানান, জঙ্গিরা আত্মঘাতী বর্মের উপরে পুলিশের পোশাক পরে দু'টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করে৷ এরপর কার্গো টার্মিনালে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা৷ এদের মধ্যে সাতজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়৷ বাকি তিনজন সেনাবেষ্টিত অবস্থায় শরীরে বাধা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটায়৷
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে এরকম তালেবান হামলা নতুন নয়৷ তবে অতীতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ ২০১১ সালে করাচি নৌ-ঘাঁটিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা৷ এতে প্রাণ হারায় দশজন ব্যক্তি৷
এআই/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)