কোয়েটায় বোমা হামলা
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩শনিবার সন্ধ্যায় চালানো এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-জঙভী বা এলইজে৷ গোষ্ঠীটি এই বছরই আরও দুবার কোয়েটায় শিয়াদের উপর হামলা করেছে৷
জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে কোয়েটা শহরের একটি স্নুকার ক্লাবে চালানো হামলায় নিহত হন ৯২ জন৷ এরপর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন দেশটির উত্তরপশ্চিমের একটি শিয়া মসজিদে হামলায় ২৪ জন নিহত হয়েছিলেন৷
ফলে এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ জন শিয়া নিহত হলেন৷ অথচ গত এক বছরে নিহতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪০০ জন৷
গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ব্যর্থতার জন্যই শনিবার সন্ধ্যায় এই হামলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেলুচিস্তান প্রদেশের গভর্নর জুলফিকার মাগসি৷
এদিকে, হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিয়ারা৷ লাহোরে প্রায় দেড় হাজার শিয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন৷ সমাবেশ হয়েছে মুলতান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রধান শহর মুজাফ্ফরাবাদেও৷
এসব বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে কোয়েটার নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছে৷ কোয়েটার হাজারা ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান আজিজুল্লাহ হাজার হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান চালাতে প্রাদেশিক সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন৷
এদিকে, কোয়েটার শিয়াদের এক মুখপাত্র সৈয়দ কামার হায়দার জায়দি শিয়াদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন৷ এছাড়া তিনি নিহতদের স্মরণে তিন দিনের শোক পালনের আহ্বান জানিয়েছেন৷
সমালোচকরা বলছেন, কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে লড়তে এক সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী এলইজে গোষ্ঠীকে সমর্থন জানিয়েছে৷ কিন্তু সেনাবাহিনী এখন আর তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না৷
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ১৮ কোটি জনগণের প্রায় এক পঞ্চমাংশ শিয়া ধর্মাবলম্বী৷
তালেবানের একের পর এক হামলা সামাল দিতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্রের আশীর্বাদপুষ্ট পাকিস্তান সরকার এবার জাতিগত সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঠেকাতেও অসফলতা দেখাচ্ছে৷
গোয়েন্দাদের ধারণা, এলইজে'র মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো এভাবে হামলা চালিয়ে দেশকে অস্থির করে তুলতে চায়৷
জেডএইচ / এসি (রয়টার্স, এএফপি)