আন্না হাজারে’র নাম এখন জার্মান গণমাধ্যমেও
২৪ এপ্রিল ২০১১মাথায় গান্ধীটুপি পরে ৭১ বছর বয়সি বাবুরাও হাজারে'র ছবি৷ গান্ধীবাদীর পিছনে স্বয়ং মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতি৷ স্যুদদয়েচে সাইটুং'এ সুদীর্ঘ প্রতিবেদনটির সঙ্গে প্রকাশিত ছবিটির ক্যাপশন হল: ‘আশ্চর্য সাদৃশ্য'৷ প্রতিবেদকের বক্তব্য: ‘আন্দোলনকারী (আন্না হাজারে) নতুন দিল্লির রাজনীতিকদের জন্য জুজুবুড়িতে পরিণত হয়েছেন৷' অপরদিকে হাজারে যে নিজেও রাজনীতির খেলা খেলতে জানেন, প্রতিবেদক সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷ যেমন হাজারে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের উন্মাদনার অন্ত ঘটার আগে তাঁর অনশন ধর্মঘট শুরু করেননি৷ চারদিন অনশনের পর সরকারকে গলবস্ত্র হয়ে আসতে হয়েছে আন্না হাজারের কাছে৷
নয়ে সুরশার সাইটুং নজর দিয়েছে ফুকুশিমায় দুর্ঘটনার পর ভারতে পরমাণু বিদ্যুতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ দানা বাঁধার দিকে৷ পত্রিকাটি প্রতিবেদনের মুখবন্ধে লিখছে: ‘দ্রত প্রবৃদ্ধিশালী, জ্বালানি শক্তির জন্য ক্ষুধিত ভারত পরমাণু শক্তির উপর জোর দিয়েছে৷ এযাবৎ এই নীতি নিয়ে কোনো বিতর্ক ছিল না৷ ফুকুশিমার বিপর্যয় জনমানসকে সচকিত করেছে৷' জয়েতপুরে বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র সৃষ্টি হতে চলেছে৷ ঠিক সেখানেই ৭০০ মানুষের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারালেন প্রথম পরমাণু বিরোধী আন্দোলনকারী, এক স্থানীয় ধীবর৷ খবরটা বেশ বড় করেই এসেছে নয়ে সুরশার সাইটুং এবং টাগেসসাইটুং'এ৷ অপরদিকে ভারতের পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ ঘোষণা করেছেন, ভারতের বিপুল জ্বালানি ক্ষুধার পরিপ্রেক্ষিতে পরমাণু বিদ্যুৎ ছাড়া ভারতের কোনো বিকল্প নেই৷
নয়েস ডয়েচলান্ড তাকিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে, যেখানে, পত্রিকাটির শীর্ষক অনুযায়ী, ‘লাল দুর্গের উপর অভিযান', অর্থাৎ নির্বাচন শুরু হয়েছে৷ ‘৩৪ বছর ধরে কলকাতায় শাসন করছে বামফ্রন্ট৷ কিন্তু বিরোধীরা এখন যতোটা শক্তিশালী, অতীতে তারা কখনো ততোটা শক্তিশালী ছিল না৷' অপরদিকে সিপিআই-এম এখনও সব আশা পরিত্যাগ করেনি, এবং কেন করেনি, সেটা অর্ধেন্দু ভূষণ বর্ধন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং গৌতম দেবের মতো রাজনীতিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন প্রতিবেদক৷
গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: জাহিদুল হক