1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান সংবাদ মাধ্যমে ভারতে দুর্নীতি ও আন্না হাজারের আন্দোলনের চিত্র

১৭ এপ্রিল ২০১১

পাইলটদের নকল লাইসেন্স, টেলিকম ক্ষেত্রে টু-জি কেলেঙ্কারি ও আন্না হাজারের নাগরিক আন্দোলন – ভারতে দুর্নীতি নিয়ে সাম্প্রতিক খবরাখবর জার্মান সংবাদ মাধ্যমেও স্থান পেয়েছে৷

https://p.dw.com/p/10ux0
আন্না হাজারেছবি: UNI

ভারতে আন্না হাজারের নেতৃত্বে নাগরিক সমাজের দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন জার্মান পত্রপত্রিকার নজর কেড়েছে৷ দৈনিক ‘নয়েস ডয়েচলান্ড' লিখেছে, নাগরিক অধিকার কর্মীর এই সাফল্যকে সেমি ফাইনাল জয় বলা চলে৷ জার্মান পাঠকদের জন্য ৭২ বছর বয়স্ক গান্ধীবাদী নেতার অনশন ও অন্যান্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন লেখক৷ দিল্লির একটি মঞ্চে তাঁর এই অভিযান কীভাবে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ক্ষমতাকেন্দ্রের ভিত কীভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে৷ গত প্রায় চার দশকের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ভারতে কোনো সরকারই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে নি৷ উল্টে এই সমস্যা আরও ফুলে-ফেঁপে উঠেছে৷ তাই আন্না হাজারে দুর্নীতি দমনের লক্ষ্যে এমন এক শক্তিশালী কাঠামো গঠনের দাবি জানাচ্ছেন, যার কর্মীরা সরকার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কাজ করতে পারবেন, যাতে তাদের উপর কোনো প্রভাব সৃষ্টি করা সম্ভব না হয় – জানিয়েছে ‘নয়েস ডয়েচলান্ড'৷

ভারতে সাম্প্রতিক দুর্নীতি কেলেঙ্কারির আরও দুটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছে জার্মান সংবাদ মাধ্যম৷ কীভাবে নকল লাইসেন্স নিয়ে বিমানের পাইলট হিসেবে বহাল তবিয়তে কাজ করা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ‘স্যুডডয়চে সাইটুং'৷ লেখক একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন, যখন রওয়ানা হওয়ার ঠিক আগে এক বিমানযাত্রী বিমানকর্মীদের প্রশ্ন করেছেন, ‘‘আমাদের বিমানের পাইলট যদি ‘আসল' পাইলট না হন, তাহলে কী হবে?'' ভারতের বিমান সংস্থাগুলিতে কর্মরত প্রায় সাড়ে চার হাজার পাইলটের মধ্যে মাত্র এক তৃতীয়াংশের লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখেছে৷ বাকিরা সবাই যে বুজরুক, এমনটা ধরে নেওয়া যায় কি না, তা কেউ জানে না৷ তবে গত কয়েক মাসে প্রায় ১২ জন ধরা পড়েছে, যারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারে নি৷ শুধু লাইসেন্সই একমাত্র সমস্যা নয়, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী নিজে স্বীকার করেছেন যে ২০১০ সালে ৫৭ জন পাইলট মদ খাওয়া সত্ত্বেও বিমান চালাতে এসেছিলেন৷ ভারতে বিমান চলাচল যে অভাবনীয় হারে বেড়ে চলেছে, তার ফলে পাইলটের চাহিদাও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে৷ এই পরিস্থিতির এক সার্বিক চিত্র তুলে ধরেছে ‘স্যুডডয়চে সাইটুং'৷

ভারতের টেলিকম ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিশাল মাত্রার উল্লেখ করেছে দৈনিক ‘ব্যার্লিনার সাইটুং'৷ স্পেক্ট্রাম বণ্টনকে কেন্দ্র করে ‘টু-জি' কেলেঙ্কারির ফলে রতন টাটা ও অনিল আম্বানির মতো এমন অনেক শিল্পপতির নাম সন্দেহের তালিকায় উঠে এসেছে, যা এর আগে কখনো ভাবাই যায় নি৷ টেলিকমের মতো এত বড় ক্ষেত্রে এমন এক বিশাল অঙ্কের কেলেঙ্কারি ভারতে বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ফাটল ধরিয়েছে বলে মনে করে এই দৈনিক৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই