1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা বন্ধ, জার্মানিতে বাড়ছে সংক্রমণ

১৭ মার্চ ২০২১

জার্মানিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে৷ এদিকে হুহু করে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল ও মুখ্যমন্ত্রীরা আগামী সপ্তাহে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন৷

https://p.dw.com/p/3qj7d
অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা
ছবি: Marco Passaro/Independent Photo Agency Int./imago images

রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটসহ একাধিক বিশেষজ্ঞ জার্মানিতে মারাত্মক এক অবস্থার পূর্বাভাষ দিচ্ছেন৷ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার এত দ্রুত বেড়ে চলেছে, যে আসন্ন ইস্টারের ছুটির পর পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে বলে তারা আশঙ্কা করছেন৷ মঙ্গলবার দৈনিক সংক্রমণের গড় হার ছিল ৮৩ দশমিক সাত৷ অথচ এক সপ্তাহ আগে সেই হার ছিল ৬৮৷ সংক্রমণের এই গতি বজায় থাকলে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের উপর আবার চাপ সৃষ্টি হতে পারে৷ ৮০ বছরের বেশি বয়সের বেশিরভাগ মানুষ এরই মধ্যে করোনা টিকা পেয়ে গেছেন বলে মৃত্যুর হার কিছুটা কমলেও অন্য বয়সের মানুষ করোনা সংক্রমণের কারণে গুরুতর অসুস্থ হতে শুরু করেছেন৷

করোনা সংকটের বর্তমান পর্যায়ে জার্মানির সরকার একাধিক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে বলে চারিদিকে অভিযোগ উঠছে৷ নেতিবাচক পূর্বাভাষ সত্ত্বেও লকডাউন কিছুটা শিথিল করার কারণে সংক্রমণ বাড়ছে৷ করোনার আরও ছোঁয়াচে সংস্করণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ আগামী ২২শে মার্চ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা আবার মিলিত হয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করবেন৷ এর আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দৈনিক সংক্রমণের গড় হার পর পর তিন দিন ধরে একশোর বেশি হলে আবার কড়া সিদ্ধান্ত নেবার কথা৷

এদিকে ইউরোপের একাধিক দেশের মতো জার্মানিও অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির টিকা দেওয়া বন্ধ রাখায় সামগ্রিকভাবে টিকাদান কর্মসূচির গতি আরও কমে গেছে৷ এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে যে গতিতে টিকা দেবার পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা বজায় রাখা কঠিন হবে৷ অন্য কোম্পানিগুলি সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷ তাছাড়া অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তার ফলে ডাক্তারের চেম্বারে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনাও আপাতত স্থগিত রাখতে হচ্ছে৷

অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির করোনার টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি এখনো কাটছে না৷ কোম্পানির অন্যতম দপ্তর যে দেশে, সেই সুইডেনও এই টিকা বন্ধ রাখায় সংশয় বাড়ছে৷ বিশেষজ্ঞরা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি সম্পর্কে এখনো চূড়ান্ত রায় দিতে পারছে না৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউরোপীয় ওষুধ সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন৷ তবে কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, সেই ঝুঁকির সম্ভাবনা এতই কম যে নির্দ্বিধায় এই টিকা নেওয়া যেতে পারে৷ কারণ ঝুঁকির তুলনায় টিকার ফলে উপকারের মাত্রা অনেক বেশি৷ মানুষের সংশয় কাটাতে কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্রের পর সবার জন্য এই টিকা নেবার সুযোগ দেবার প্রস্তাবও শোনা যাচ্ছে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)