1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে বৈঠক

১৬ মার্চ ২০২১

ব্রিটিশ-সুইডিশ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নিয়ে রক্ত জমাট বাঁধার কিছু ঘটনার ফলে বিভ্রান্তি বাড়ছে৷ ডাব্লিইউএইচও মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক ডেকেছে৷ এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংক্রমণের হার বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/3qfxD
ছবি: Dado Ruvic/REUTERS

করোনা সংকটের মোকাবিলা করতে যত দ্রুত সম্ভব মানুষকে টিকা দেবার চেষ্টা করছে অনেক দেশ৷ এ ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত সস্তা এবং ব্যবস্থাপনার দিক থেকে সহজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির টিকা আশার আলো দেখিয়েছে৷ কিন্তু ইউরোপে একের পর এক দেশ এই টিকা দেওয়া বন্ধ রাখায় সেই উদ্যোগ থমকে যাচ্ছে৷  

অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নেবার পর কিছু মানুষের রক্ত জমাট বাঁধার পর সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ফ্রান্স, ইটালি, স্পেন ও জার্মানিও সোমবার এই কোম্পানির টিকা ব্যবহার না করার সাময়িক সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এর আগে ইউরোপের উত্তরের  একাধিক দেশ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ রক্ত জমাট বাঁধার প্রকৃত কারণ জানা পর্যন্ত এই টিকা দেওয়া হবে না৷

অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির করোনা টিকার ভাবমূর্তি প্রায় শুরু থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ প্রাথমিক সংশয়ের কারণে জার্মানিসহ ইউরোপের একাধিক দেশে বয়স্ক মানুষের জন্য এই টিকার ছাড়পত্র দেওয়া হয় নি৷ কর্তৃপক্ষ পরে সেই বাধা প্রত্যাহার করলেও অনেক মানুষ স্বেচ্ছায় এই টিকা নিতে অস্বীকার করছেন৷ বিভিন্ন মহলের আশ্বাসের পর অনেকে সংশয় কাটিয়ে টিকা নেওয়া শুরু করার পর নতুন করে বিপত্তি দেখা দিলো৷ উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত কোনো বড় সমস্যা ছাড়াই গোটা বিশ্বে প্রায় এক কোটি দশ লাখ মানুষ এই টিকা নিয়েছেন৷

এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞকা মঙ্গলবার অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠকে বসছেন৷ ইউরোপীয় ওষুধ দপ্তর ইএমএ-ও আলাদা করে তথ্য বিশ্লেষণ করছে৷ বৃহস্পতিবার এক জরুরি বৈঠকে এই সংস্থা পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবে৷ এতদিন ধরে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ডাব্লিউএইচও এবং ইউরোপীয় ওষুধ দপ্তর এখনো পর্যন্ত এই টিকার প্রতি আস্থা প্রকাশ করলেও সংশয় দূর হচ্ছে না৷ সোমবার ডাব্লিউএইচও-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন আতঙ্ক কাটিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেবার কর্মসূচি চালিয়ে যাবার পক্ষে সওয়াল করেন৷

এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা সংক্রমণের হার আবার দ্রুত বাড়তে থাকায় নতুন করে দুশ্চিন্তা দেখা দিচ্ছে৷ ইটালির একটা বড় অংশে সোমবার থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে৷ ভারতেও করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে চলায় কর্তৃপক্ষ নতুন করে কড়া পদক্ষেপের কথা ভাবছে৷ জার্মানিতেও করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁদের মতে, এপ্রিল মাসেই পরিস্থিতি আগের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে৷ মঙ্গলবার রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডিয়র্ক ব্রকমান বলেন, গত সপ্তাহে প্রায় ২০ শতাংশ হারে সংক্রমণ বেড়েছে৷ লকডাউন শিথিল করে কিছু ছাড় দেবার ফলে সংক্রমণের হার আরও বাড়ছে বলে তিনি মনে করেন৷

মিউটেশন প্রক্রিয়ার ফলে করোনা ভাইরাসের একাধিক সংস্করণ এই মহামারির বিরুদ্ধে সংগ্রাম আরও জটিল করে তুলছে৷ ফ্রান্সের ব্রিটানি অঞ্চলে নতুন এক ভেরিয়েন্ট বা সংস্করণের আবির্ভাবের ফলে সে দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দুশ্চিন্তায় পড়েছে৷ তবে প্রাথমিক বিশ্লেষণে সেটিকে খুব ছোঁয়াচে বা মারাত্মক বলে মনে হচ্ছে না৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য