অ্যামেরিকার উন্নতিতে খুশি ইউরোপের বাজার
৮ অক্টোবর ২০১৪গত সপ্তাহে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষণায় কিছুটা হতাশ হয়েছিল ইউরোপের পুঁজিবাজার৷ কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান বেড়ে চলায় সোমবার বাজার আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে৷ এমনকি ইউরো-র বিনিময় মূল্যও কিছুটা বেড়ে গেছে৷ অ্যামেরিকার অর্থনীতি সম্পর্কে সুখবরের ফলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে ইউরোপের রপ্তানিকারক কোম্পানিগুলি৷ তারা আরও বেশি অর্ডারের আশা করছে৷ তবে ইউরোপের নিজস্ব চাহিদা না বাড়ার ফলে ইউরো এলাকা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না৷ সেপ্টেম্বর মাসে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সূচক সবচেয়ে কম মাত্রা ছুঁয়েছে৷ অর্থাৎ শুধু অন্যান্য দেশে রপ্তানির উপর নির্ভর করে ইউরোপ ঘর সামলাতে পারবে না৷
সংস্কার, ব্যয় সংকোচের ক্ষেত্রে কিছু অগ্রগতি ঘটছে, যার ফল এখনো হাতেনাতে পাওয়া যাচ্ছে না৷ তবে বাকি সব সমস্যার মোকাবিলায় কমবেশি সাফল্য পাওয়া গেলেও ইউরোপের অনেক দেশে চরম বেকারত্ব দূর করা সম্ভব হচ্ছে না৷ তাই চলতি সপ্তাহে শুধু এই সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যেই ইটালির মিলান শহরে মিলিত হচ্ছেন ইউরোপীয় শীর্ষ নেতারা৷ সঙ্গে থাকবেন শ্রমমন্ত্রীরাও৷ প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে ‘ইয়ুথ গ্যারেন্টি' নামের এক কর্মসূচি, যার আওতায় তরুণ প্রজন্মের জন্য চাকরি বা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হবে৷ অর্থাৎ শিক্ষা শেষ করার পরই তারা ৬০০ কোটি ইউরো-র এই তহবিল থেকে উপকৃত হবেন৷ আপাতত ফ্রান্স ও ইটালিতেই এই কর্মসূচি চালু করা সম্ভব হয়েছে৷ দ্বিতীয় বড় সমস্যা ফ্রান্স ও ইটালির মতো দেশের অর্থনৈতিক দুর্বলতা৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক শক্তি ফ্রান্সের বাজেট নিয়ে সংকট দেখা যাচ্ছে৷ সে দেশের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির মাত্রা প্রায় ৪.৩ শতাংশ – যা ৩ শতাংশের সীমার অনেক উপরে৷ আগামী ১৫ই অক্টোবরের মধ্যে ফ্রান্স ইউরোপীয় কমিশানের কাছে সংশোধিত বাজেট পেশ না করলে গোটা কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে৷ ফ্রান্স ২০১৭ পর্যন্ত এই নিয়মের ক্ষেত্রে ছাড় চাইছে৷ এমন ব্যতিক্রমের কোনো অবকাশ অবশ্য নেই৷
এদিকে স্পেন তার সংকট সামলাতে বাড়তি ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ দেশের অনেক পৌরসভার ঋণের মাত্রা কমাতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে৷ এককালীন অর্থ দিয়ে তাদেরও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে ফিরিয়ে আনাই এর উদ্দেশ্য৷ ইটালির সরকার পরবর্তী সংস্কারের আগে আস্থা ভোটের পথ বেছে নিয়েছে৷ ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে গোটা কাঠামোকে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে চান তিনি৷ গ্রিসের সরকারও শুক্রবার আস্থা ভোটের মুখোমুখি হচ্ছে৷ সরকারের পতন ঘটলে বেলআউট কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসার প্রচেষ্টা বড় ধাক্কা খেতে পারে৷
এসবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)