1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেন্দ্রীয় ব্যাংকই ভরসা!

১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪

অর্থনীতির ভবিষ্যৎ গতিপথ নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের ঐকমত্যের অভাব ইউরো এলাকার জন্য বেশ বড় একটা সমস্যা হয়ে উঠছে৷ এই অবস্থায় বার বার হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা ইসিবি৷

https://p.dw.com/p/1D9LC
Symbolbild EZB Europäische Zentralbank Frankfurt am Main
ছবি: Daniel Roland/AFP/Getty Images

ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকার যখন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রশ্নে ঐকমত্যে আসতে পারছে না, তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে আবার হাল ধরেছে ইসিবি৷ গত সপ্তাহে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার আরও কমিয়েছে, বাজারে আরও অর্থ ঢালতে এক কর্মসূচি ঘোষণা করছে এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের আর্থিক সম্পদ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ উদ্দেশ্য, ব্যাংকগুলি যাতে আরও সহজে ঋণ দিতে শুরু করে৷ অনেক বিশেষজ্ঞই ভাবতে পারেননি, ইসিবি এত দ্রুত এতগুলি সিদ্ধান্ত নেবে৷

কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, ইসিবি-র সক্রিয় ভূমিকা বার বার ইউরো এলাকার বিপদ কাটিয়ে তুলছে বটে, কিন্তু এর ফলে জাতীয় সরকারগুলি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেবার ক্ষেত্রে ঢিলেমি দেখাচ্ছে৷ গত সপ্তাহের সিদ্ধান্তের ফলেও ফ্রান্সের মতো দেশের উপর থেকে চাপ অনেকটা কমে গেল৷ ইসিবি প্রধান দ্রাগি বলছেন, তিনি নিয়মের কাঠামোর মধ্যে থেকেই যথাসাধ্য করছেন৷ তাছাড়া তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন, যে শুধু আর্থিক নীতি ইউরো এলাকার সংকট কাটানোর জন্য যথেষ্ট নয়৷ এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে রাজনৈতিক স্তরে ঐকমত্যের কোনো বিকল্প নেই৷

Symbolbild EZB Europäische Zentralbank Frankfurt am Main
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার আরও কমিয়েছেছবি: Getty Images

আপাতত দুশ্চিন্তা ফ্রান্স ও ইটালিকে নিয়ে৷ ফ্রান্স যথেষ্ট বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে পারছে না৷ ইটালির সরকার উদ্যোগ শুরু করলেও তার ফল দেখা যাচ্ছে না৷ তবে অন্যান্য দেশগুলি পরিস্থিতি সামলে উঠছে৷ আয়ারল্যান্ড সময়ের আগেই আইএমএফ-কে ঋণ ফেরত দিতে চায়৷ ফলে সে দেশকে কম সময়ের জন্য চড়া সুদের হার গুনতে হবে৷ পর্তুগাল আবার প্রবৃদ্ধির পথে ফিরে এসেছে৷ স্পেনের সরকার কড়া হাতে অর্থনীতিকে মজবুত করে তুলছে৷ তবে চরম বেকারত্ব দূর করতে এখনো সাফল্য আসেনি৷ গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অদূর ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধির আশা প্রকাশ করেছেন৷

এদিকে স্কটল্যান্ডের মানুষ আসন্ন গণভোটে স্বাধীনতার পক্ষে রায় দিতে পারেন – এমন আশঙ্কায় ব্রিটেনের পুঁজিবাজার বেশ ধাক্কা খেয়েছে৷ পাউন্ডের বিনিময় মূল্যও কমে গেছে৷ স্কটল্যান্ড সত্যি স্বাধীনতার পথে গেলে সে দেশের মুদ্রা কী হবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি কাটছে না৷ স্কটল্যান্ডের দুর্বলতা ইউরোপের অর্থনীতির উপরেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷

এই অবস্থায় চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইউরোপের পুঁজিবাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷ তবে জুলাই মাসে জার্মানির রপ্তানি আবার বেড়ে যাওয়ায় বাজার আশ্বস্ত হয়েছে৷ ২,২২০ কোটি ইউরো ট্রেড সারপ্লাসের ফলে জার্মানির রপ্তানি রেকর্ড মাত্রা ছুঁয়েছে৷ এর আগে ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক শক্তির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ০.২ শতাংশ কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছিল৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য