1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৩০ বছর ধরে অস্ত্র রপ্তানির নিয়ম ভাঙছে জার্মানি 

২০ জুলাই ২০২০

মেক্সিকোয় ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে জার্মানির অস্ত্র দিয়ে৷ ইয়েমেন যুদ্ধেও দেখা গেছে জার্মানির অস্ত্র৷৩০ বছর ধরে নিয়ম ভেঙে অস্ত্র রপ্তানি করছে জার্মানি৷ এমন তথ্য দিয়েছে এক জার্মান গবেষণা সংস্থা৷

https://p.dw.com/p/3fajQ
Symbolbild Illegale Waffen aus Deutschland
ছবি: picture-alliance/Ulrich Baumgarten

ইইউ-র অস্ত্র রপ্তানি বিষয়ক বিধিমালায় বলা আছে, এ অঞ্চলের কোনো দেশ অস্ত্র রপ্তানি করলে ‘‘মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং যে দেশে রপ্তানি করা হবে সে দেশ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলে কিনা’’ তা বিবেচনায় রাখতে হবে৷

কিন্তু পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট ফ্রাঙ্কফুর্ট (পিআরআইএফ) ১৯৯০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে দেখেছে, এই তিন দশক ধরে অস্ত্র রপ্তানির নিয়ম লঙ্ঘন করে আসছে জার্মানি৷

রোববার জার্মানির এই গবেষণা সংস্থা মনে করে, এভাবে যুদ্ধ এবং সংকটগ্রস্ত বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় এমন দেশগুলোকে সহায়তা এবং এক রকমের অনুমোদনও দেয়া হচ্ছে৷

উদাহরণ হিসেবে ২০১৪ সালে মেক্সিকোর ছাত্র-বিক্ষোভের কথা উল্রেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, তখন ছাত্রদের ওপর হিংস্রভাবে হামলা চালিয়েছিল পুলিশ এবং জার্মানির জি-৩৬ অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে গুলি করে হত্যাও করা হয়েছিল বিক্ষুব্ধদের৷ এছাড়া চলমান ইয়েমেন যুদ্ধে জার্মানির অস্ত্র ব্যবহৃত হতে দেখা গেছে বলেও প্রতিবেদনে পিআরআইএফ-এর গবেষকরা জানিয়েছেন৷

এ অবস্থার অবসান চান অনেকে

বার্তা সংস্থা এএফপিকে গ্রিনপিস ডিসআর্মামেন্ট বিশেষজ্ঞ আলেক্সান্দার লুর্ৎস বলেছেন, ‘‘জার্মানির অস্ত্রগুলো একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই যুদ্ধাঞ্চলে এবং স্বৈরশাকদের কাছে যাচ্ছে৷’’ এ অবস্থার অবসানের জন্য অস্ত্র রপ্তানি আইন কঠোর করার দাবি জানিয়েছেন তিনি৷

পিআরআইফ-এর প্রতিবেদন জার্মানির অনেক রাজনীতিদকেই ক্ষুব্ধ করেছে৷ বাম দলের বিদেশনীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জেফিম ডাগডেলেন অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে এএফপিকে বলেন, ‘‘পুরো ব্যবস্থাটাই অসুস্থ৷ক্ষমতায় কেমন দল বা জোট রয়েছে তাতে কিছু আসে যায় না৷’’

এসিবি/ কেএম (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য