1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২৬ জন ব্যক্তির বিশ্বের অর্ধেক গরিবের সমান সম্পদ

২১ জানুয়ারি ২০১৯

সোমবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে সম্পদের অসম বন্টন নিয়ে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ কথা জানিয়েছে অক্সফাম৷ তারা এই অসমতা দূর করতে ধনীদের সম্পদের ওপর আরো কর আরোপের পরামর্শ দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3BtDq
Ein Oxfam-Zeichen wird an einer Wand in Corail, einem Lager für Vertriebene des Erdbebens von 2010, am Stadtrand von Port-au-Prince, Haiti gesehen
ছবি: Reuters/A.Martinez Casares

দাভোসে শুরু হতে যাওয়া ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের সম্মেলনের ঠিক আগে এই রিপোর্ট প্রকাশ করলো ২০টি দাতব্য সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত কনফেডারেশন অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, সবচেয়ে ধনী ২৬ জনের সম্পদ সবচেয়ে গরিব ৩৮০ কোটি মানুষের সম্পদের সমান৷ ২০১৮ সালে বিশ্বের এই বিলিয়নেয়াররা সম্মিলিতভাবে প্রতিদিন ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার করে কামিয়েছেন৷ অথচ বিশ্বের অর্ধেক গরিব জনগোষ্ঠী প্রতিদিন হারিয়েছে ৫০ কোটি ডলার৷ অর্থাৎ, ধনী-গরিবের সম্পদের ব্যবধান ক্রমাগত বেড়েই চলেছে৷

‘‘আমাদের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে৷  শত সহস্র লাখো মানুষ ভয়ঙ্কর দারিদ্র্যে দিন কাটাচ্ছে৷ অথচ শীর্ষ ধনীদের পকেট দিনকে দিন ভারী হচ্ছে,'' এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করে অক্সফাম৷ 

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘‘সরকারগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তারা তাদের সব নাগরিককে সম্মান নিয়ে বাঁচতে দেবে, নাকি কিছু মানুষকে অতিমাত্রায় সম্পদশালী করে রাখবে৷''

হিসেবে দেখা যায়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোসের সম্পদ গত বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২ বিলিয়ন ডলারে, যা ১০ কোটি ৫০ লাখ মানুষের দেশ ইথিওপিয়ার এক বছরের স্বাস্থ্য বাজেটের সমান৷ 

 অক্সফাম বলেছে, ধনী ও গরিবের মাঝে বাড়তে থাকা ব্যবধান অর্থনীতিগুলোকে বিরূপ প্রভাব ফেলছে এবং মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়াচ্ছে৷

‘‘সারাবিশ্বেই মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা গেছে,'' এক বিবৃতিতে বলেন অক্সফামের নির্বাহী পরিচালক উইনি বিয়ানিইমা৷

সংস্থাটির মতে, ধনীদের সম্পদের ওপর মাত্র ০ দশমিক ৫ ভাগ কর বাড়ালেই যত টাকা পাওয়া যাবে, তা দিয়ে যে ২৬ কোটি শিশু পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে না, তাদের স্কুলে ফেরত নেয়া সম্ভব এবং স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আরো ৩৩ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানো যাবে৷

জেডএ/এসিবি (এএফপি)