লাশ উদ্ধার
৩০ মে ২০১২জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দলের প্রধান মেজর জেনারেল রবার্ট মুড জানিয়েছেন যে, সিরিয়ার পূর্বে অবস্থিত দেইর এজোরে ১৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ সবগুলোর লাশের চোখ কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা এবং সবার হাত পেছন থেকে বাঁধা৷ কয়েকজনকে খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করা হয়েছে৷
পর্যবেক্ষক মিশনের একজন মুখপাত্র জানান, জেনারেল মুড পুরো ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত৷ তিনি দুই পক্ষকেই সংঘত হওয়ার অনুরোধ করেছেন৷ সিরিয়ার সাধারণ মানুষের ওপর যে ধরণের নির্যাতন চালানো হচ্ছে, সিরিয়ায় যে ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছে তা বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি৷
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে শুক্রবার জেনেভায় তারা একটি বিশেষ অধিবেশনে বসবেন৷ সিরিয়ায় হুলায় প্রায় ১০৮ জন মারা যাওয়ার পর সিরিয়ার বিষয়টি নিয়ে আরো গভীরভাবে আলোচনা শুরু করেছে পশ্চিমা বিশ্ব৷ এ ধরণের অধিবেশন সচরাচর ডাকা হয়না৷ অধিবেশনে উপস্থিত থাকবে ৪১টি দেশ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরাষ্ট্রসমূহ ছাড়াও আরো ২১টি দেশের মধ্যে –অ্যামেরিকা, তুরস্ক, সৌদি আরব এবং কাতার লিখিতভাবে জানিয়েছে যে এই বিশেষ অধিবেশনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে৷
সিরিয়ার হুলায় হত্যাকাণ্ডের ফলাফল হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ সিরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে৷ তুরস্ক আঙ্কারায় অবস্থিত সিরিয়ার দূতাবাসের শার্জ-দ্য-অ্যাফেয়ার এবং অন্যান্য কূটনীতিককে আদেশ দিয়েছে ৭২ ঘন্টার মধ্যে তুরস্ক ত্যাগ করতে৷ তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে একথা জানানো হয়েছে৷
জাপানও একই কথা জানিয়েছে বুধবার৷ টোকিওতে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মেদ ঘাসান আল-হাবাশকে যত দ্রুত সম্ভব জাপান ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে জাপান সরকার৷ বার্তা সংস্থা এএফপি একথা জানিয়েছে৷ জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কইচিরো গেমবা এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘হুলায় যে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তার পেছনে সিরিয়া সরকারের হাত রয়েছে৷ এর মধ্যে ছিল ৪৯টি শিশু এবং ৩৪জন মহিলা৷ তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে৷''
তবে ঠিক কতদিনের মধ্যে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে জাপান ত্যাগ করতে হবে তা গেমবা জানান নি৷ এতসব ঘটনার পরও সিরিয়ার সঙ্গে জাপান কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখবে তা নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গেমবা৷
মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, স্পেন এবং অ্যামেরিকা তাদের দেশ থেকে সিরিয়ার কূটনৈতিকদের দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেন৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার (এএফপি, রয়টার্স, এপি)
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ