হ্যারি পটার
১ এপ্রিল ২০১২হ্যারি পটার ছবিগুলি আটবারের প্রচেষ্টায় ‘‘অ্যান্ড দ্য অস্কার গো'জ টু...'', এই ম্যাজিক ফর্মুলাটি শুনতে পেল না, এটা কি করে হয়? না আর্ট ডাইরেকশন, না ভিজুয়াল এফেক্টস, না মেক-আপ, না সিনেম্যাটোগ্র্যাফি, না কস্টিউম ডিজাইন, না মিউজিক৷ শেষবারের প্রতিযোগিতায় ‘‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোজ - পার্ট টু'' মনোনীত হয়েছিল আর্ট ডাইরেকশন, মেক-আপ এবং ভিজুয়াল এফেক্টস'এর জন্য৷ কিন্তু তার মধ্যে দু'টি অস্কার জিতল মার্টিন স্করসেসে'র ‘‘হিউগো''; মেক-আপ'এর অ্যাওয়ার্ডটি পেল প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের জীবনকাহিনিকে ভিত্তি করে নির্মিত ছবি, ‘‘দ্য আয়রন লেডি''৷
অথচ ‘‘হিউগো'' তো বাণিজ্যিক সাফল্যের হিসেবে ‘‘ডেথলি হ্যালোজ দুই''-এর ধারেকাছেই আসতে পারে না৷ ছবিটির বিশ্বজোড়া বক্স অফিস সেলস'এর পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার৷ বিশ্বের বিভিন্ন ফিল্ম ও মোশান পিকচার অ্যাকাডেমি হ্যারি পটার'কে সুনজরে দেখেন না কেন, সেই রহস্যের সমাধান কিন্তু এখনও কেউ করে উঠতে পারেনি৷
একটা সম্ভাবনা হয়তো এই যে, হ্যারি পটার বই ও ছবিগুলোর আশ্চর্য সাফল্য যুগপৎ সাধারণ মানুষ এবং পণ্ডিতদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে৷ এবার মনস্তত্ববিদদের বিচার করে দেখার পালা, এক পৃথিবী মানুষ, নারী-পুরুষ থেকে ছোট ছেলেমেয়ে, সবাই যখন এক খোকা জাদুগরের কাল্পনিক কাহিনি নিয়ে এ'ভাবে মেতে ওঠে, তখন সেই ‘ফেনমেনন' থেকে আধুনিক জগৎ ও সভ্যতা সম্পর্কে কি সিদ্ধান্ত করা যেতে পারে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী/রয়টার্স
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম