হুগলিতে লকেট চট্টোপাধ্য়ায়কে ঘিরে বিক্ষোভ
হুগলিতে বারবার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো।
লকেটকে ঘিরে বিক্ষোভ
ভোটের দিনে একাধিকবার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন লকেট। ধনিয়াখালি ও চুঁচুড়ায়। এর মধ্যে চুঁচুড়ায় লকেট যাওয়া মাত্র তাকে ঘিরে তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের স্লোগানে উত্তেজনা দেখা দেয়।
লকেটের দাবি
লকেটের বক্তব্য, তৃণমূলের নেতারা বুথ জ্যাম করছে। অনিয়ম করছে। তিনি সেই সব ধরে ফেলার জন্য গেছেন। তারপরই তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ইচ্ছে করে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
সমানে স্লোগান, তর্ক-বিতর্ক
এবার বিরোধী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এই কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। তাদের দেখলেই 'গো ব্যাক' স্লোগান দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে 'জয় বাংলা'। এমনকি কালো পতাকাও দেখানো হচ্ছে। এর আগের চার পর্বে এভাবেই বিরোধী প্রার্থীদের বিরুদ্ধাচরণ করেছে তৃণমূল। এবারও করলো।
ধনিয়াখালিতে উত্তেজনা
ধনিয়াখালিতে লকেট গিয়ে পৌঁছানোর পরেই একই ছবি দেখা যায়। বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে স্লোগান দেয়া চলতে থাকে। তৃণমূলের অভিুযোগ, লকেট ইচ্ছে করে তাদের ক্যাম্প অফিসে ঢুকে পড়েছিলেন। লকেট যা অস্বীকার করেছেন।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপ
উত্তেজনা বাড়তে থাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বুথের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসেন। তারা পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। তারা ভিড় সরিয়ে দেন। বুথের সামনে কাউকে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি।
কেন এই বিক্ষোভ?
তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের প্রশ্ন ছিল, লকেট কেন আসবেন? তাদের অভিযোগ, গতবার লকেট এসে গোলমাল করেছিলেন। তাই তারা লকেটকে চান না। কিন্তু লকেট ওই কেন্দ্রের প্রার্থী। তার নির্বাচনী কেন্দ্রের সব বুথে ঘোরার অধিকার আছে। কোথাও কোনো গোলমাল হলে তা কমিশনকে জানানোও তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। একই অধিকার তৃণমূল ও সিপিএমের প্রার্থীরও আছে।
রচনা পৌঁছাবার পর
গোলমালের কথা শুনে তৃণমূলের প্রার্থী রচনা বন্দ্যেোপাধ্যায়ও সেখানে যান। তাকে দেখেই তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।
ভালো ভোট পড়ছে
হুগলিতে এই বিক্ষোভ, তর্ক-বিতর্ক সত্ত্বেও দুপুর তিনটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৫ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে গড় ভোট পড়েছে প্রায় ৬৩ শতাংশ।