হামুনের তাণ্ডবে তোলপাড় কক্সবাজার
২৬ অক্টোবর ২০২৩মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের স্থলভাগে প্রবেশ করে বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় হামুন। যার জেরে শহর ও গ্রাম দুই অঞ্চলেই ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কক্সবাজার আগেই বিদ্যুৎহীন করে দেয়া হয়েছিল। সেখানে বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রামে বহু বাড়ির দেওয়া ভেঙে পড়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, প্রায় ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টি।
বুধবার দুপুরে বাংলাদেশের স্থলভাগে ঢোকার কথা ছিল হামুনের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গতিপথ বদলে আরো তীব্র হয় হামুন। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই তা কক্সবাজার অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে ঢুকতে শুরু করে। রাত ১টা নাগাদ তা খানিকটা দুর্বল হয় এবং স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়। যার জেরে বুধবার সারাদিনই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রবল থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে।
ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় প্রায় পৌনে তিন লাখ মানুষকে আগেই উপকূল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। তাদের রাখা হয়েছিল আশ্রয়শিবিরে। ফলে খুব বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। মহেশখালী উপজেলায় একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গাছ চাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রচুর বাড়ি ধসে পড়েছে। প্রচুর গাছ উল্টে গেছে। ভেঙেছে হোর্ডিং।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ঝড়ের গতিবেগ মূলত ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থাকলেও কক্সবাজারে তা রেকর্ড ১০৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত উঠেছে।
হামুনের প্রভাব পড়েছে পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গেও। ঝড় না হলেও দক্ষিণবঙ্গজুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সারাদিনই ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টির আশঙ্কা আছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, বিএসএস)