1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাটহাজারী মাদ্রাসার কবরস্থানে শায়িত আল্লামা শফী

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

শনিবার দুপুরে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জানাজায় অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ৷ এসময় আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা সংলগ্ন হাটহাজারী এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে৷

https://p.dw.com/p/3iieK
শনিবার দুপুরে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জানাজায় অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ৷ এসময় আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা সংলগ্ন হাটহাজারী এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে৷
ছবি: AFP

বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, ‘‘জানাজার সময় সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ এই সময় খাগড়াছড়ি, ফটিকছড়ি, রাউজান, রাঙ্গুনিয়াগামী বাসগুলোকে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়৷’’

দুপুর ২টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়৷ আহমদ শফীর বড় ছেলে পাখিয়ারটিলা কওমি মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ জানাজা পড়িয়েছেন৷ স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মশিউর রহমান, চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার রাশেদুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বদিউল আলম জানাজায় অংশ নেন বলে উল্লেখ করেছে বিডিনিউজ৷

মাদ্রাসার ভেতরের কবরস্থানেই আহমদ শফীকে দাফন করা হয়৷ টানা ৩৪ বছর তিনি এই মাদ্রাসার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করে এসেছেন৷

জানাজাকে ঘিরে পুলিশ, র‌্যাবের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় বিজিবি সদস্যদের৷ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া ও পটিয়া উপজেলায় সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ দেয়া হয় বলেও জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমটি৷

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ হেফাজতে ইসলামের সর্বোচ্চ এই নেতা৷ চিকিৎসার জন্য শুক্রবার বিকালে হেলিকপ্টারে করে তাকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আনা হয়েছিল৷ তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত দুর্বলতায় ভুগছিলেন৷ ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ জানান, আহমদ শফীর বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর৷

আল্লামা শফী রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা মাদ্রাসা, পটিয়ার আল জামিয়াতুল আরাবিয়া মাদ্রাসা এবং হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন৷ এরপর ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসাতেও চার বছর শিক্ষা নেন৷ ১৯৮৬ সালে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক পদে যোগ দেন তিনি৷ হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক হিসেবে কওমি মাদ্রাসাগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে আসা আহমদ শফী ‘বড় হুজুর’ নামে পরিচিত৷ কওমি মাদ্রাসা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশেরও (বেফাক) সভাপতি ছিলেন তিনি৷

তারা আল্লামা শফীর অব্যাহতি এবং তার ছেলে মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক আনাস মাদানির বহিষ্কারের দাবিতে হাটহাজারী বড় মাদ্রাসায় কয়েকশ শিক্ষার্থী বুধবার বিক্ষোভ শুরু করেন৷ বৃহস্পতিবার রাতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির বৈঠকে আল্লামা শফী পদত্যাগ করেন বলে জানা যায়৷ তার ছেলেসহ দুই শিক্ষককেও অব্যাহতি দেয়া হয়৷ বৈঠকের পর আহমদ শফীকে মাদ্রাসাটি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম শহরের একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ একদিন পরই ঢাকায় হাসপাতালে মারা যান তিনি৷

বাংলায় ১৩টি ও উর্দুতে নয়টি বইয়ের রচয়িতা শফী নারীবিরোধী নানা বক্তব্যের জন্য বিভিন্ন সময় সমালোচিত হয়েছেন৷ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ২০১৩ সালে গণজাগরণ আন্দোলন শুরুর পর হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বে তিনি বেশি আলোচনায় আসেন৷

এফএস/এডিকে (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান