1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হরতালে সহিংতা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৮ অক্টোবর ২০১৩

বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী ১৮ দলীয় জোটের ৩ দিনের হরতালে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে৷ রোববার সারা দেশে অন্তত ৫ জন নিহত হন৷ এছাড়া, ঢাকার বাইরে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ এ অবস্থায় সংলাপ নয়, বরং ভয়াবহ সহিংসতার আশঙ্কা৷

https://p.dw.com/p/1A755
epa03926365 View of the streets in the Dhaka Chittagong highway during the the first day of the 60-hour countrywide shutdown called by the Bangladesh Nationalist Party (BNP) led 18-party alliance in Dhaka, Bangladesh 27 October 2013. The 18-party alliance has enforced the strike demanding a non-partisan government to oversee next year_s general elections. An opposition activist was killed in clashes with police in Nagarkanda, 60 kilometres west of Dhaka, police officer Jamil Hasan said. Police fired teargas and rubber bullets to disperse the mob. EPA/ABIR ABDULLAH +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

ঢাকাসহ পুরো দেশ এখন এক আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে৷ কখন কোথায় বোমা ফাটে, কোথায় হামলা হয় কেউ জানে না৷ তিন দিনের হরতালের প্রথম দিন রোববার, সারা দেশে পাঁচজন নিহত হয়েছেন৷ যশোর, পাবনা, ফরিদপুর, পিরোজপুর এবং বগুড়ায় ওই পাঁজজন নিহত হন বলে জানা গেছে৷ এছাড়া, দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, হামলা এবং ট্রেন ও যানবাহনে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলেও খবর৷

দিনে রাজধানী ঢাকা মোটামুটি শান্ত থাকলেও রোববার রাতে নানা জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে৷ হামলা হয়েছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের উত্তরার বাসাতেও৷

Police officers try to detain a man who was suspected of throwing a crude bomb at police in Dhaka October 26, 2013. Pro-strike activists threw crude bombs, vandalized and set fire on at least thirteen vehicles as more than fifty people were injured in Dhaka. Bangladesh Nationalist Party (BNP) and it's allies called for a three day countrywide strike from Sunday, demanding a caretaker government, local media reported. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: POLITICS CIVIL UNREST)
পুলিশ তটস্থ, সহিংসতা বাড়তে পারে...ছবি: Reuters

এইসব সহিংসতার মাঝে প্রধান দুই দলের নেতারা যেসব কথা বলছেন, তাতে দুই নেত্রীর শনিবারের ফোনালাপের পর আশার চেয়ে নিরাশার বার্তাই বেশি দিচ্ছে৷ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংলাপে সরকারের স্বচছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ তিনি বলেছেন, সরকার সংলাপের কথা বললেও তাদের অন্তর্গত স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দিহান বিএনপি৷ তাঁর অভিযোগ, সরকার একদিকে সংলাপের কথা বলছে ঠিকই৷ কিন্তু অন্যদিকে বিরোধী নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে৷

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যে সর্বদলীয় সরকারেরর প্রস্তাব দিয়েছেন ওটাকে ভিত্তি ধরেই আলোচনা এগিয়ে নিতে চায় সরকার৷ বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপের ভিত্তি হবে সংবিধান৷

তবুও মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনা দৌড়-ঝাপ অব্যাহত রেখেছেন৷ তিনি সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আবারো সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে গঠনমূলক সংলাপ শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন৷

তবে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, সামনে আরো সংঘাতময় পরস্থিতি অপেক্ষা করছে৷ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি কেউই ছাড় দিতে রাজি নয়৷ আওয়ামী লীগ মনে করে, সর্বদলীয় সরকারই তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সুবিধাজনক৷ আর বিএনপি মনে করছে, তাদের ক্ষমতায় যেতে দরকার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার৷ তাই তারা নিজেদের প্রস্তাবের বাইরে যেতে কোনোভাবেই রাজি নয়৷ সামনের নির্বাচনে এরা কেউই পরাজিত হতে চায় না৷ তাই তাদের মধ্যে ছাড় দেয়ার কোনো মানসিকতাই নেই৷

বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, সংলাপের পরিবেশই এখনো সৃষ্টি হয়নি, সফল হওয়া তো দূরের কথা৷ হয়ত কোনো চাপের কারণে মুখে সংলাপের কথা বলা হচ্ছে৷ তবে বাস্তবে দুই দলই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে –এমনই মন্তব্য তাঁর৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য