স্যাটেলাইট জগতে প্রবেশের অপেক্ষায় বাংলাদেশ
২৯ মার্চ ২০১৪গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিটিআরসি চলতি মাসের ৯ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়ে স্যাটেলাইট প্রকল্পের একটি ‘বিজনেস প্ল্যান' উপস্থাপন করেছে৷
এতে বলা হয়, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ফলে বাংলাদেশ প্রতি বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারবে৷ বাংলাদেশের ২৪টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ভাড়া বাবদ বিদেশি স্যাটেলাইট কোম্পানিকে প্রতি বছর এই অর্থ দিয়ে থাকে৷
এছাড়া বিটিআরসি বলছে, স্যাটেলাইট প্রকল্প থেকে যে অর্থ আয় হবে তার ৭০ ভাগ আসবে প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া স্যাটেলাইট ভাড়া হিসেবে৷ উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের নিজস্ব স্যাটেলাইট রয়েছে৷ তবে বিটিআরসি মনে করে, ঐ দুটি দেশের আরও চাহিদা রয়েছে৷ তাছাড়া নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের কাছ থেকেও অর্থ আয়ের স্বপ্ন দেখছে বিটিআরসি৷
এভাবে অর্থ আয়ের কারণে বিটিআরসি মনে করছে, বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের সাত বছরের মধ্যে প্রকল্পটি ব্রেকইভেন পর্যায়ে পৌঁছবে৷
পুরো প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩,২৪৩ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে বিটিআরসি দেবে ১,৫৫৫ কোটি টাকা৷ আর বাকিটা আসবে বিদেশি উৎস থেকে৷ ছয়টি আন্তর্জাতিক ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটিতে অর্থায়নে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানা গেছে৷
স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের জন্য রুশ কোম্পানি ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে ১১৯ ডিগ্রি ইস্ট'এ একটি অর্বিটাল স্লট কিনবে বিটিআরসি৷ এক্ষেত্রে ১৫ বছরের জন্য খরচ হবে ২২ কোটি টাকা৷