পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
৩০ জানুয়ারি ২০১৩শনিবার স্মার্ট ফ্যাশানস-এ আগুন লেগে ধোঁয়ায় এবং পদদলিত হয়ে ৭ জন পোশাক শ্রমিক নিহত হন৷ এই ঘটনায় অবহেলার অভিযোগে থানায় মালিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলাও হয়৷ প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ মালিকদের অবহেলা এবং বেআইনিভাবে কারখানা পরিচালনার প্রমাণ পেয়েছে৷ আর তাই গ্রেফতার করা হয়েছে স্মার্ট ফ্যাশানস-এর চেয়ারম্যান শরীফ আহমেদ এবং এমডি জাকির আহমেদকে৷ তারা গ্রেফতার এড়াতে ধানমন্ডির একটি বাসায় লুকিয়েছিল৷ গোয়েন্দা বিভাগের উপ কমিশনার মোল্লা নজরুল জানান, তারা তাদের অনিয়ম এবং অবহেলার কথা স্বীকার করেছেন৷
তিনি বলেন, শুধুই কি অবহেলা না মলিকানার দ্বন্দ্বে আগুন লাগানো হয়েছে, তাও তারা তদন্ত করছেন৷ এজন্য আটক ২ জনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে৷
তিনি জানান, যারা স্মার্ট ফ্যাশানস-এর মত একটি অবৈধ প্রতিষ্ঠানকে সাবকন্ট্র্যাক্ট-এ কাজ দিয়েছেন, তাদের ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে৷ তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে৷
এদিকে হাইকোর্ট অগ্নি নিরপত্তাসহ অন্যান্য বৈধতা অর্জন না করা পর্যন্ত স্মার্ট ফ্যাশানস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন৷ নির্দেশ দিয়েছেন শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধের৷
অন্যদিকে সাভারের তাজরীন ফ্যাশানস-এ আগুনে ১১২ জনের মৃত্যুর পরও মালিক দেলোয়ার হোসেনকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি৷ একাধিক তদন্ত টিম তাদের রিপোর্টে বলেছে, ঐ কারখানার অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল ত্রুটিপূর্ণ ফায়ার লাইসেন্স ছিল মেয়াদ উত্তীর্ণ৷ তাকে কবে গ্রেফতার করা হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান জানান, সব তদন্ত এখনো শেষ হয়নি৷ তদন্ত শেষ হলেই তাকে গ্রেফতারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷