1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘গভীরভাবে তদন্ত হবে’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৫ ডিসেম্বর ২০১২

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তাজরিন ফ্যাশনস-এর মতো আর কোনো পোশাক কারখানায় যাতে আগুন লেগে মৃত্যুর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ আর কারখানার অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা হতে হবে আধুনিক ও গ্রহণযোগ্য৷

https://p.dw.com/p/16vgX
ছবি: AP

আশুলিয়ার তাজরিন ফ্যাশনস-এ আগুনের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ তাঁরা জানান যে, তাঁদের সব শেষ হয়ে গেছে৷ তাঁরা কিভাবে বেঁচে থাকবেন? প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বলেন, যাঁরা মারা গেছেন তাঁদের তো আর ফিরিয়ে দেয়া যাবে না৷ তবে এই পরিবারগুলোকে তিনি তাঁর সাধ্যমত সহায়তা করবেন৷

Großbrand in Bangladesch
সরকারি হিসেবে ২৪শে নভেম্বর তাজরিন ফ্যাশনস-এ আগুনের ঘটনায় ১১০ জন নিহত হনছবি: Reuters

সরকারি হিসেবে ২৪শে নভেম্বর তাজরিন ফ্যাশনস-এ আগুনের ঘটনায় ১১০ জন নিহত হন৷ যাঁদের অর্ধেকের পরিচয় জানা যায়নি৷ লাশ দাফন করা হয়েছে বেওয়ারিশ হিসেবে৷ প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যলয়ে নিহতদের মধ্যে ৪৩ জনের প্রত্যেকের পরিবারকে ৬ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক দেন৷ এর মধ্যে ২ লাখ টাকা দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে৷ আর বাকি টাকা বিজিএমইএ এবং অন্যান্য সংগঠন দেয়৷

প্রধানমন্ত্রী চেক দেয়ার সময় বলেন, তাজরিন ফ্যাশনস-এর মতো আর যেন আগুনে মৃত্যুর ঘটনা না ঘটে – সে জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে৷ তিনি জানান, এজন্য সরকারও পোশাক কারখানা মনিটর করবে৷

তবে প্রধানমন্ত্রী নাশকতার ঘটনাও গভীরভাবে তদন্ত করে দেখার কথা বলেন৷ তিনি বলেন, কোনো কোনো মহল শ্রমিকদের এ ধরনের আগুনের ঘটনায় ব্যবহার করছে৷ তারা কারা, কেন তারা এসব করছে – তা অবশ্যই জানা দরকার৷

বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে৷ রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগই আসে পোশাক শিল্প থেকে৷ ফায়ার সার্ভিস জানায় যে, তাদের হিসেবে ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০০ পোশাক শ্রমিক মারা গেছেন কারখানায় আগুন লেগে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য