তথ্য প্রযুক্তির মেলা
৪ মার্চ ২০১৩কদিন আগেই স্পেনের বার্সেলোনায় শেষ হয়ে গেল ‘মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস'৷ অত্যাধুনিক ডিজাইনের সব মোবাইল দেখানো হয়েছে সেখানে৷ এর আগে জানুয়ারি মাসে লাস ভেগাসে হয়েছে ‘কনজিউমার ইলেকট্রনিক শো'৷ এই দুটাই বিশ্বের অন্যতম বড় মেলা৷ তবে সেগুলোর চেয়েও এগিয়ে সেবিট, বলছেন মেলার মুখপাত্র হার্টভিগ ফন সাস৷ তিনি বলছেন, মাইক্রোসফট, আইবিএম, এসএপি, গুগলের মতো বড় বড় কোম্পানি অংশ নিচ্ছে সেবিটে৷
এবারের সেবিটের মূল থিম ‘শেয়ার-ইকোনমি'৷ এর মানে হলো সফটওয়্যার, ডাটা, গান সহ সবকিছুই ভাগাভাগি করে নেয়া৷ অর্থাৎ মানুষ এখন সফটওয়্যার কেনার চেয়ে ভাড়া করতে আগ্রহী৷ এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার প্রসারের কারণেও শেয়ার-ইকোনমি বিষয়টি বেশি আলোচিত হয়ে উঠছে৷ অফিস আদালতে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ই-মেইলের বিষয়টি দিন দিন পুরনো হয়ে যাচ্ছে৷ এখন সহকর্মীদের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ফেসবুক, টুইটার এগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে৷ আবার তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে ক্লাউড কম্পিউটিং করা হচ্ছে৷
তবে এসব কারণে তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়টিও আলোচিত হচ্ছে৷ কেননা ভাগাভাগি মানেই তো সবার কাছে সবকিছু উন্মুক্ত হয়ে যাওয়া৷ তাই এবারের সেবিটে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলো তথ্য ব্যবস্থাপনা, ইন্টারনেট নিরাপত্তা ও ক্লাউড কম্পিউটিং-এর নানা পন্থা তুলে ধরবে৷
একটি কোম্পানি সেবিটে এমন একটি চেয়ার দেখানোর পরিকল্পনা করছে, যাকে জাদু চেয়ার বলা যেতে পারে৷ কারণ আপনি সেখানে বসলে চেয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার ওজন, হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ ও অন্যান্য তথ্য পরিমাপ করে নিবে৷ এরপর যদি চেয়ার মনে করে একটু বেশি হেলে গিয়ে আপনাকে আরাম দেয়া উচিত, তাহলে সেটা তাই করবে৷
আরেকটি কোম্পানি দেখাবে এমন একটি ট্রলি, যা আপনাকে একটি বড় সুপারমার্কেটের যে জায়গায় প্রয়োজনীয় জিনিসটি রয়েছে সেখানে নিয়ে যেতে দিকনির্দেশনা দেবে৷
এমন সব কিছু আনন্দদায়ক পণ্যেরও দেখা মিলবে সেবিটে, যেটা চলবে ৯ তারিখ পর্যন্ত৷ পোল্যান্ডকে এবারের মেলার ‘পার্টনার কান্ট্রি' বানানো হয়েছে৷
জেডএইচ / এসবি (এএফপি, ডিপিএ)