জলবায়ু পরিবর্তন
৮ মার্চ ২০১২জলবায়ুর ক্রমাগত পরিবর্তন দেশের সবথেকে অনুন্নত সুন্দববন এলাকার মানুষজনদের সঙ্কটকে বাড়িয়ে তুলেছে অনেকগুণ৷ বিশ্ব উষ্ণায়নের অভিঘাতে জলস্তর বাড়ছে৷ সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বাড়ছে৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে ঘনঘন৷ বদলে যাচ্ছে বৃষ্টিপাতের ধরণ৷ বদলে যাচ্ছে মাটির চরিত্র৷এই হিসেবটা আগেকার হিসেবের চেয়ে অনেকগুণ বেশি৷
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ কতোটা বদলাচ্ছে, সেটা ভালোভাবে অনুধাবন না করে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা সফল হতে পারেনা৷ দিল্লির পরিবেশ সংস্থার গবেষক আদিত্য ঘোষ সেকথাই বললেন ডয়চে ভেলেকে৷ আমরা এক ধরণের পরিকল্পনা করবো প্রকৃতি বদলে যাবে অন্যভাবে৷ সেই পরিবর্তিত প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতে আমাদের উন্নয়নের রূপরেখাটা তাতে একেবারেই নিষ্ফলা হয়ে যাবে৷
সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, সুন্দরবনে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রতি দশকে বাড়ছে ০.৫ সেলসিয়াস করে৷ গত ২০/৩০ বছরে সুন্দরবনে জলস্তর বেড়েছে আন্তর্জাতিক গড়ের দ্বিগুণ৷ বৃষ্টিপাত ও সাইক্লোনের চরিত্র বদলে গেছে৷ সুন্দরবন এলাকার ৭০% মানুষ কৃষিজীবী৷ সমুদ্রের জলস্তর বাড়ায় প্রচুর পরিমাণ নোনাজল ঢুকে গিয়ে কৃষিজমির সর্বনাশ করছে৷ তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভূমিক্ষয়৷ গত এক ধশকে ভূমিক্ষয়ের হার বেড়েছে দ্বিগুণ৷ জলবায়ু পরিবর্তনে সুন্দরবনের নদী ও খাঁড়িতে মাছের পরিমাণও কমে গেছে৷ রুজিরোজগারের সঙ্কটে সেখানকার মানুষজনদের নাভিশ্বাস৷
এই এলাকার উন্নয়নে যে বিপুল পরিমাণ অর্থের দরকার সেটা বহন করতে হবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে৷ তবে বেশিটা দিতে হবে উন্নত দেশগুলিকে যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মূলত দায়ী উন্নত দেশগুলি এমনটাই বলা হয় সমীক্ষা রিপোর্টে৷
সুন্দরবনের সমস্যা কিন্তু ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই৷ কিন্তু দুদেশের ম্যানেজমেন্ট আলাদা৷ পরিবেশ গবেষক আদিত্য ঘোষ তাই বললেন এক যৌথ পরিকল্পনার কথা, যেখানে দুদেশকেই বাড়াতে হবে সহযোগিতার হাত৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ