সুতার বাড়তি দামে বিপদে গার্মেন্টস শিল্প
৫ জুন ২০২২করোনা মহামারির ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে আবারো চাপের মুখে পোশাক খাত৷ ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে দাম বেড়েছে কাঁচামালের৷ এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন উদ্যোক্তারা৷
আন্তর্জাতিক বাজারে ২০২০ সালে এক পাউন্ড কাঁচা তুলার দাম ছিল ৬৪ সেন্ট৷ এখন সেই দাম দ্বিগুণেরও বেশি (১.৩ মার্কিন ডলার)৷ এতে বাংলাদেশ, চীন ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসানের মুখে পড়েছে৷ লোকসান সামলাতে না পেরে বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে ছোট ছোট কারখানাগুলো৷ অনেক প্রস্তুতকারক সুতার বদলে কমদামে সিনথেটিক ব্যবহার করছে৷
‘‘আমরা কারখানাগুলো পুরোদমেই চালাচ্ছি৷ কিন্তু তার জন্য কতটা খরচ বহন করতে হচ্ছে আমাদের? লাভের মুখ দেখাই কঠিন হয়ে পড়েছে,'' বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন৷ আন্তর্জাতিক ব্রান্ড এইচএন্ডএম ও গ্যাপের জন্য পোশাক তৈরি করেন তিনি৷
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সিংহভাগ ক্রেতা ইউরোপ৷ এই ব্লকে দেশে তৈরি গার্মেন্টস পণ্যের ৬০ ভাগ রপ্তানি হয়৷ কিন্তু রপ্তানিকারকদের অভিযোগ, বাড়তি খরচ ক্রেতারা কোনভাবেই নিতে চায় না৷
সিদ্দিকুর জানান, করোনাকালে পরিবহণ খরচ চারগুণ বেড়েছে৷ ‘‘তার বোঝা রপ্তানিকারকদের ওপরই পড়ছে,'' বলেন তিনি৷
খরচ কমাতে তুলার পরিবর্তে সিনথেটিক ব্যবহার করছে রপ্তানিকারকেরা৷ সিনথেটিক ফাইবারে প্রতি পাউন্ডের খরচ ৬০ সেন্ট থেকে ১ ডলার৷
ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় তুলা উৎপাদনকারী দেশ৷ কিন্তু সেখানকার অনেক ছোট ছোট তৈরি পোশাক কারখানা এমনকি তিন মাস আগের অর্ডারও পূরণ করতে পারছে না৷
‘‘ছোট কারখানাগুলো তো অর্ডার নেয়াই বন্ধ করে দিয়েছে,'' বলেন ভারতের টেক্সটাইল অ্যাসোসিয়েশনের অশোক জুনেজা৷
জেডএ/এপিবি (রয়টার্স)