সিরিয়ায় হত্যাযজ্ঞ
২৮ মে ২০১২এদিকে, হামা শহরে সংঘর্ষ ৪১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷
সিরিয়ার হুলা শহরে নৃশংস গণহত্যা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এবং সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক দূত জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কোফি আনান - উভয়ের জন্যই সংকট বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা৷ কারণ হুলায় হত্যাযজ্ঞের পরদিনই জরুরি বৈঠকে বসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ৷ বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে৷ বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন নিজেই সিরিয়ায় নিয়োজিত পর্যবেক্ষকদের সম্পর্কে বলেছেন যে, সেখানে সহিংসতা না কমে বরং কিছু এলাকায় বৃদ্ধি পাওয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষকরাও সমালোচনার মুখে পড়েছেন৷
এমন সংকটপূর্ণ অবস্থায় জাতিসংঘ ও আরব লিগের দূত হিসেবে কোফি আনান আজ সোমবার সিরিয়ায় যাচ্ছেন৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেম এর সাথে বৈঠক করবেন আনান৷ আর পরদিন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গেও তাঁর বৈঠক করার কথা রয়েছে৷
এদিকে, সিরিয়ার পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় সিরীয় নেতা বাশার আল-আসাদের সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনেরও সমালোচনা করেছেন মার্কিন সিনেটর জন ম্যাককেইন৷ এমনকি বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তাঁর মিত্র দেশ রাশিয়ার অবস্থানকে তোয়াক্কা না করার কথাও বলেন তিনি৷
তবে আসাদ প্রশাসনের সাথে সুর মিলিয়ে হুলায় গণহত্যার পেছনে সরকারি বাহিনীকে দায়ী না করে বরং ‘সন্ত্রাসীদের' দায়ী করেছে রাশিয়া ও ইরান৷ অবশ্য এই নির্মম ঘটনার নিন্দাও জানিয়েছে তারা৷ একইসাথে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করার যে অভিযোগ উঠেছে তা অস্বীকার করেছে তেহরান৷
অন্যদিকে, হামা শহরে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি - এফএসএ বাহিনীর সাথে সরকারি বাহিনীর লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে৷ এফএসএ বাহিনীর আক্রমণের জবাবে সরকারি বাহিনী ঐ অঞ্চলে গোলা হামলা চালিয়েছে৷ এতে অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামা রেভোলিউশন লিডারশিপ কাউন্সিল৷ নিহতদের মধ্যে পাঁচ জন নারী এবং আটটি শিশুও রয়েছে৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই (এএফপি, রয়টার্স, এপি)
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ