1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় স্থিতিশীলতার উদ্যোগ

৬ জুলাই ২০১৭

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে রাশ টানতে সে দেশের আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন' ঘোষণার ডাক শোনা যাচ্ছে বেশ কিছুকাল ধরে৷ এবার ওয়াশিংটন ও মস্কো সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা আনতে এমন কিছু সুস্পষ্ট উদ্যোগ নিতে পারে৷

https://p.dw.com/p/2g0mC
সিরিয়ার আকাশে বোমারু বিমান
ছবি: Picture alliance/AP Photo/U.S. Air Force/M. Bruch

তথাকথিত ইসলামিক স্টেট-এর বিরুদ্ধে অভিযান শেষ পর্যায়ে পৌঁছনোর পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা আনতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন৷

বিশেষ করে যে সব এলাকা থেকে আইএস উৎখাত হয়েছে, সেই শূন্যতা পূরণ করতে বিভিন্ন বিবাদমান গোষ্ঠীর মধ্যে নতুন সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে৷ এমন প্রেক্ষাপটে নতুন করে উত্তেজনা এড়াতে চায় ওয়াশিংটন৷ অবশ্যই রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই সব পদক্ষেপ কার্যকর করা সম্ভব হতে পারে৷ টিলারসন বলেন, স্থিতিশীলতা আনতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলে সিরিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বোঝাপড়ার ভিত্তি তৈরি হবে৷ অন্যান্য প্রশ্নে মতবিরোধ সত্ত্বেও সিরিয়ার ক্ষেত্রে এই সহযোগিতা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন টিলারসন৷ তবে ভবিষ্যতে বাশার আল আসাদ প্রশাসনের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেন নি তিনি৷

প্রথমত সিরিয়ার আকাশসীমার মধ্যে ‘নো ফ্লাই জোন' ঘোষণা করার প্রস্তাব কার্যকর করতে চায় ওয়াশিংটন৷ মার্কিন নেতৃত্বে কোয়ালিশন বাহিনী ও রাশিয়ার মদতপুষ্ট আসাদ প্রশাসনের স্বার্থের সংঘাতে এ পর্যন্ত বিমান হামলায় অনেক নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে৷ হামলার জন্য পরস্পরকে দোষারোপের ঘটনাও বিরল নয়৷ এই পরিস্থিতিতে আকাশে কোনো সামরিক বিমান না উড়লে পরিস্থিতি শান্ত থাকতে পারে৷

সিরিয়ায় বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করতে পর্যবেক্ষক মোতায়েনের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন৷ এ ক্ষেত্রেও এতকাল বিভ্রান্তি ও প্রচারণার ফলে অনেক বোঝাপড়া শেষ পর্যন্ত কার্যকর করা সম্ভব হয় নি৷

সিরিয়া সংকট শুরু হবার পর থেকে সে দেশের বেসামরিক জনগণের জীবনযাত্রা অনেক এলাকায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে৷ জাতিসংঘ ও অন্যান্য সাহায্যকারী সংগঠন ত্রাণ সাহায্য পাঠাতে গিয়ে বার বার বাধার মুখে পড়েছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানবিক ত্রাণ সাহায্যের ক্ষেত্রেও রাশিয়ার সঙ্গে সমন্বয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন৷

জার্মানির হামবুর্গ শহরে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন-এর মধ্যে প্রথম আলোচনায় সিরিয়ার বিষয়টিও বিশেষ গুরুত্ব পেতে চলেছে৷ তবে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের মতে, সিরিয়ার প্রশ্নে অতীতেও ওয়াশিংটন মস্কোর উপর নির্ভর করে হতাশ হয়েছে৷ রাশিয়া আসাদ প্রশাসনের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে শেষ পর্যন্ত নিজস্ব পথে এগিয়েছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য