1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদ্রোহীদের চরমপত্র

৩১ মে ২০১২

দেইর আল-জর প্রদেশের আসুকর’এ ১৩টি মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে৷ জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা লাশগুলি দেখেছেন৷ অপরদিকে বিদ্রোহীদের দাবি: শুক্রবারের মধ্যে আনান’এর শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে হবে৷

https://p.dw.com/p/155Du
ছবি: picture-alliance/dpa

হুলা'র হত্যাকাণ্ডের রেশ এখনও মেটেনি৷ সারা বিশ্বকে সচকিত করেছে ঐ হত্যাকাণ্ড৷ সিরিয়ার বান্ধব চীন ও রাশিয়াও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে বাধা দেয়নি৷ বুধবার সিরিয়ার পরম মিত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমদিনেজাদ পর্যন্ত ফরাসি টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, অপরাধীদের শাস্তি পাওয়া উচিত এবং সে দায়িত্ব থেকে তিনি কাউকেই মুক্তি দিচ্ছেন না৷

তার পর পরই পূর্ব সিরিয়ায় এই নতুন হত্যাকাণ্ড আবিষ্কৃত হয়েছে: ১৩টি লাশ, তাদের চোখে ফেট্টি বেঁধে, পিছনে হাত মুড়ে, মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে৷ মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের প্রধান মেজর জেনারেল রবার্ট মুড বলেছেন, তিনি ‘‘এই জঘন্য ও অমার্জনীয় কাজের জন্য গভীরভাবে পীড়িত৷''

ওদিকে বিদ্রোহীদের ফ্রি সিরিয়ান আর্মি দামেস্ক সরকারকে কোফি আনানের শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য শুক্রবার দুপুর অবধি সময় দিয়েছে৷ নয়তো তারা তাদের যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করবে৷ তাদের দাবি যে, আসাদ প্রশাসনকে আন্নান পরিকল্পনার ছটি শর্তের সব ক'টি মেনে চলতে হবে: অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি; যাবতীয় সহিংসতার অন্ত; বেসামরিক এলাকা থেকে ট্যাংক ও সাঁজোয়া গাড়ি প্রত্যাহার; সব এলাকায় মানবিক সাহায্য প্রেরণের সুযোগ; রাজনৈতিক বন্দি ও বিক্ষোভকারীদের মুক্তি, এবং গণমাধ্যমকে দেশের সব অংশ থেকে বিবরণ দেওয়ার অধিকার প্রদান৷

Kofi Annan Bashar al Assad Damaskus
সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোফি আনানের বৈঠকছবি: picture-alliance/dpa

অথচ হুলা'র হত্যাকাণ্ডের পর মাটিতে পরিস্থিতি কিছুমাত্র পাল্টেছে বলে মনে হচ্ছে না৷ সিরীয় সৈন্যরা হুলা'র কেন্দ্রীয় এলাকায় গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে, বলে ব্রিটেনে অবস্থিত সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এবং স্থানীয় সমন্বয় কমিটি, উভয়েই জানিয়েছে৷

তবে বিশ্বরাজনীতির ক্ষেত্রে পরিবর্তনের আভাস স্পষ্ট: রিপাবলিকান সেনেটর জন ম্যাককেন কুয়ালালামপুর থেকে বলেছেন, এবার সক্রিয় হবার সময় এসেছে; সিরিয়ার বিরোধীরা যা'তে আত্মরক্ষা করতে পারে, সে'জন্য তাদের অস্ত্র দেওয়ার সময় এসেছে৷ এমনকি তিনি এ'ও বলেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে সিরিয়ার জনগণকে সাহায্য করছে না, সেটা লজ্জাকর৷

ম্যাককেন যাই বলুন, ওবামা প্রশাসন কিন্তু পূর্বাপর সিরিয়ায় সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে৷ পশ্চিমি দুনিয়া এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশ সিরীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কারকে প্রতিবাদের পন্থা হিসেবে ব্যবহার করছে৷ কিন্তু রাশিয়া বুধবারও বলেছে, এখনই সিরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী (এপি, এএফপি)
সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য