সালাহ উদ্দিন ভারতে
১৯ মে ২০১৫আহমেদি হুসেইন টুইটারে বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম এর একটি সংবাদ শেয়ার করে প্রশ্ন তুলেছেন, বিএনপি বলেছিল ঢাকা থেকে সালাহ উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়েছে৷ তাহলে তিনি কীভাবে মেঘালয়ে গেলেন?
সাংবাদিক সালেহ বিপ্লব ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘ক'দিন দেখলাম সরকারপন্থি টকশোবিদরা ঠেসে বলছেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ স্বেচ্ছায় ওপারে গেছেন৷ গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন৷ আমি তাদের কথা যদি মেনে নেই, তাহলে আমাকে এও মানতে হবে, ভারত তার ভূখণ্ড বাংলাদেশের সরকারবিরোধী তৎপরতার জন্য ব্যবহার করতে দিচ্ছে৷ নাকি ভুল বললাম?''
মোঃ মোশারফ হোসেন আমারব্লগে লিখেছেন, ‘‘দীর্ঘ দুই মাস আগে নিখোঁজ থাকার পর হঠাৎ করে পূর্ণিমার চাঁদের মতো উদয় হলেন৷ তাও আবার পেয়ারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরে৷ তাকে চোখ বেঁধে রাখা হত সবসময় এবং একটা ঘুঁপচি ঘরে বন্দি করে রাখা হয়, এটা সালাহ সাহেবের ভাষ্য৷ প্রশ্ন একটা মনে উঁকি মারে ঢাকার উত্তরায় নিখোঁজ হয়ে কিভাবে শিলং গেলেন? যে বিএসএফ ফেলানীকে ঝোলাতে পারে সে বিএসএফ কি তখন ঠাকুরমার ঝুলি পড়ছিল৷''
মাহবুবুল আলম একই ব্লগে লিখেছেন, ‘‘বিএনপি যেভাবে নেতিবাচক রাজনীতির বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে তাতে অচিরেই বর্তমান ইতিবাচক বিশ্ব রাজনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসতে না পারলে বিএনপির মতো দেশের অন্যতম বৃহৎ দল অস্তিত্ব সংকটে পড়তে বাধ্য তা বলে দিতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই৷''
ওমর সেলিম শের ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘এটা খুবই স্পষ্ট যে সালাহ উদ্দিন নিজে ভারত গেছেন, বা বিএনপি তাকে ভারতে যেতে বলেছে৷ এ ধরনের নাটক বিএনপি-জামাতের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি৷''
খোমেনী এহসান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘দেখুন সালাহ উদ্দিন আহমেদ সাহেব এম্নি এম্নি উদ্ধার হননি৷ যারা বলছিলেন খালেদা জিয়া নিজের জামিন আর বাসায় যাওয়ার রফা করছেন তারাও এখন প্রকাশ্যেই সরি বলেন৷ এটা ধরে রাখেন যে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আন্তরিকতার কারণেই সালাহউদ্দিন সাহেব মুক্তি পেয়েছেন৷ এমন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক যে ভারতে উদ্ধার হওয়াটাও সমঝোতার অংশ৷''
মেঘালয়ে সালাহ উদ্দিনকে পাওয়া যাওয়ার সংবাদ প্রকাশের পর মিনহাজুল আবেদীন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘বেগম খালেদা জিয়া গত দুই দিন আগেও বিবৃতি দিল যে, বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন ব়্যাবের কাছেই আছে এবং উনাকে দ্রুত ফিরিয়ে দিতে৷ তাহলে কি করে সালাহ উদ্দিন আহমেদ ভারত থেকে উনার স্ত্রীর কাছে ফোন দিল? তাহলে কি ব়্যাবের ভারতে কোনো শাখা আছে? ম্যাডাম খালেদা জিয়া আর কত উল্টা-পাল্টা কথা বলবেন?''
কাওসার শাহীন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘সালাহ উদ্দিন প্রসঙ্গঃ তাকে প্রথম দেখার গুজব উঠেছিল গাইবান্ধার দুর্গম চরে৷ গাইবান্ধার যে দুর্গম চরের কথা বলা হয়েছিল তার খানিকটা পার হলেই কুড়িগ্রাম বা জামালপুর জেলার সাথেই মেঘালয় সীমান্ত৷ এখন সত্যিই বিশ্বাস করছি সালাহ উদ্দিনকে সত্যিই গাইবান্ধার চরে দেখা গিয়েছিল৷ এই ডিজিটাল যুগে সালাহ উদ্দিন আহমদের মতো বিসিএস অফিসার যদি দুর্বল চিত্রনাট্য তৈরি করে তাহলে কি মার্কেটে নাটক চলবে?''
মুকিমুল আহসান হিমেল লিখেছেন, ‘‘ভাগ্য ভালো, আমাদের শুনতে হয়নি, উন্নত জীবনের আশায় অবৈধ পথে মালয়েশিয়া পাড়ি জমাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন৷ সুখরঞ্জন বালীর কথা মনে আছে কারো? তাকেও কিন্তু ২০১২ সালে অপহরণের প্রায় দুই মাস পর ভারতের চব্বিশ পরগনা থেকে উদ্ধার/আটক করা হয়েছিল৷ আর সালাহ উদ্দিন আটক হলো মেঘালয় থেকে৷ পার্থক্য একটা গরীব সুখরঞ্জন বালীর হয়তো বউয়ের নম্বর ছিল না, কিংবা মনে ছিল না৷ কারাভোগ শেষেও আসতে পারছে না দেশে৷''
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: জাহিদুল হক