সাগর-রুনি হত্যা মামলা
১৮ এপ্রিল ২০১২হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং বিচারপতি জাহাঙ্গির হোসেনের বেঞ্চে হাজির হন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার মনিরুল ইসলাম এবং তদন্ত কর্মকর্তা রবিউল আলম৷ আদালত তাঁদের কাছে সাগর সরওয়ার-মেহেরুন রুনি সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অগ্রগতি জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি এবং গুপ্তচর নিয়োগ করেও গত তিন মাসে তাঁরা হত্যাকাণ্ডের কোনো কিনারা করতে পারেননি৷
এরপর মনিরুল ইসলাম তদন্তে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন আদালতের কাছে৷ আদালত এই ব্যর্থতায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ব়্যাবকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়৷ এছাড়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মনিটরিং কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেয় আদালত৷ কমিটি ব়্যাবের তদন্ত কাজে সহায়তা করবে৷ যা সাংবাদিকদের জানান সুষ্ঠু তদন্তের জন্য রিট দায়ের করা আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ৷
হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক পর্যায়ে মামলার তদন্ত করেছে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ৷ মামলার আলমত নষ্টসহ অন্য কোনোভাবে ঐ তদন্তে কোনো ব্যর্থতা আছে কিনা - তাও তদন্ত করতে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে৷ জানালেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আলতাফ হোসেন৷
গত ১১ই ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে সাগর-রুনি সাংবাদিক দম্পতিকে তাঁদের ঢাকার বাসায় দুর্বৃত্তরা নৃশংসভাবে হত্যা করে৷ গত তিন মাসেও পুলিশ হত্যাকাণ্ডের কারণ নিশ্চিত হতে পারেনি৷ গ্রেপ্তার করতে পারেনি কোনো অপরাধীকে৷ আদালত তাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাদের আজ হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছিল৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ