সাগর-রুনি হত্যা
১৭ এপ্রিল ২০১২সাগর সরওয়ার-মহেরুন রুনি সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডে পুলিশের দাখিল করা তদন্ত অগ্রগতি রিপোর্ট মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং বিচারপতি জাহাঙ্গির হোসেনের বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং গুপ্তচর নিয়োগ করে পুলিশ সর্বাত্মকভাবে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং আসামিদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে৷
তাদের ধারনা, ডাকাতি অথবা সাগর-রুনির বন্ধুদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে৷ কিন্তু আদালত তদন্তকারীদের এই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হতে পারেনি৷ তাই বুধবার, সকাল ১০টার মধ্যে মামলার সব নথিপত্র নিয়ে গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার মনিরুল ইসলাম এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ যা ডয়চে ভেলেকে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আলতাফ হোসেন৷
এদিকে, এই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আদালতে রিট করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ৷ তিনি আদালতে আজ বলেন, মামলার তদন্তে গত দুই মাসে কোনো অগ্রগতি হয়নি৷ তদন্তের ফলাফল শূন্য৷ তিনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান৷
গত ১১ই ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে সাগর-রুনি সাংবাদিক দম্পতিকে তাঁদের ঢাকার বাসায় দুর্বৃত্তরা নৃশংসভাবে হত্যা করে৷ গত তিন মাসেও পুলিশ হত্যাকাণ্ডের কারণ নিশ্চিত হতে পরেনি৷ গ্রেপ্তার করতে পারেনি কোনো অপরাধীকে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ