সাঈদীর শাস্তি
৭ ডিসেম্বর ২০১২জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে ২০১০ সালের ২৯শে জুন গ্রেপ্তার করা হয় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগের একটি মামলায়৷ এরপর ২রা আগস্ট তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে হত্যা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটসহ ২০টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়৷
প্রসিকউশন তার বিরুদ্ধে ৪০৭৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর, ২০১১ সালের ৭ই ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে ট্রাইবুনাল৷ আর চলতি বছরের ৫ই নভেম্বর থেকে উভয় পক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং যুক্তিতর্ক শুরু হয়ে শেষ হয় গতকাল ৬ই ডিসেম্বর৷ ৩২ দিনে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের ৪৪ জন এবং আসামি পক্ষের ১৭ জনের সাক্ষ্য নেন৷ প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার হায়দার আলি জানান, তাঁরা আদালতে সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০ অভিযোগের ১৯টিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন৷ আদালত এখন যে কোনো দিন এই মামলার রায় ঘোষণা করবে৷
তবে সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম দাবি করেছেন যে সাঈদীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণ হয়নি৷ প্রসঙ্গত, এটিই হবে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে দায়ের করা মামলার প্রথম রায়৷
এদিকে, জামায়াতে ইসলামীর আরেক নেতা কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হবে ১০ই ডিসেম্বর৷ অন্যদিকে, ট্রাইবুনাল আদালত অবমাননার অভিযোগে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সাময়িকি ‘দ্য ইকনোমিস্ট'-এর সম্পাদক এবং দক্ষিণ এশীয় ব্যুরো প্রধানকে তিন সপ্তাহের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে৷ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তাঁরা বিচারকের ব্যক্তিগত গোপন তথ্যে অনধিকার প্রবেশ করেছেন৷