জামায়াতে ইসলামী
৫ নভেম্বর ২০১২জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে সিলেট, মৌলভী বাজার, বগুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায়৷ তারা ঝটিকা মিছিল বের করে৷
ঢাকার পুরান পল্টন এবং বায়তুল মোকাররম এলাকায় জামায়াত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে৷ এসব সংঘর্ষের ঘটনায় সারা দেশে পুলিশসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে৷ আটক করা হয়েছে অর্ধশত ব্যক্তিকে৷ সংঘর্ষের সময় যানবাহনে আগুন ও ভাঙচুর করা হয়৷ ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার নুরুল ইসলাম জানান, তাঁদের কাছে সারা দেশে ব্যাপক নাশকতার আশঙ্কার খবর আছে৷ তাই তাঁরা ঢাকাসহ সারা দেশের নিরাপত্তা জোরদার করেছেন৷ বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের নিরাপত্তার দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিচ্ছেন তাঁরা৷
এদিকে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর আইনজীবীরা অভিযোগ করেন যে, সকালে ট্রাইবুনালের গেট থেকে সাঈদীর পক্ষের একজন সাক্ষি সুখরঞ্জন বালিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অপহরণ করেছেন৷ তাঁর আইনজীবী মিজানুল হক অভিযোগ করেন, তাঁর গাড়ি থেকেই সাক্ষিকে অপহরণ করা হয়৷ এ কারণে তাঁরা দুপুরের পর ট্রাইবুনাল বর্জন করেন৷ তাঁরা সাক্ষিকে উদ্ধারের দাবি জানান৷ সাঈদীর আরেক আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন যে, তাঁরাও এখন নিরাপত্তাহীতায় ভুগছেন৷
ট্রাইবুনাল ওই সাক্ষিকে খুঁজে বের করার জন্য চিফ প্রসিকিউটরকে নির্দেশ দিয়েছে৷ তবে আদালত চত্তরে উপস্থিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কোনো সাক্ষিকে তুলে নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন৷ প্রসঙ্গত, সুখরঞ্জন বালি এর আগে সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষি দিয়েছিলেন৷