সাংবাদিক নির্যাতনে ক্ষমতাসীন এবং অন্যান্য অন্যায়কারী
২৯ এপ্রিল ২০২২তবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অন্য ‘বড় দলগুলোর’, এমনকি তথাকথিত অরাজনৈতিক সংগঠন বা বিভিন্ন পেশাজীবীদের রোষানলেও পড়তে হয় সাংবাদিকদের৷
কয়েক দিন আগে ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের সময়ও তো আহত হলেন ১১ জন সংবাদকর্মী!
এবং সংবাদকর্মীদের ওপর তখন হামলা হয়েছে প্রকাশ্যেই৷ পরিচয় গোপনের কোনো চেষ্টাই করেনি হামলাকারীরা৷ তা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত একজন হামলাকারীও গ্রেপ্তার হয়নি৷
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)-এর মহাসচিব দীপ আজাদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সাংবাদিকদের উপর নির্যাতনের বিচার হয় না বলেই নির্যাতনকারীরা বেপরোয়া৷ কয়েকদিন আগেই আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিহত সাংবাদিকদের বিচারের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে এসেছি৷ আমরা আশা করেছিলাম, সেই মামলাগুলোর বিচার গতি পাবে? কিন্তু সেটা হয়নি৷ সাংবাদিকরা সব সময় ক্ষমতাধরদের শত্রু! কিন্তু তারা বুঝতে পারেন না, আজ যিনি রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাধর, কাল তিনি বিরোধী দলে৷ ফলে কাল তিনি বিপদে পড়লে আমরাই তার পক্ষে লিখবো৷ বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে খুলনায় হুমায়ুন কবির বালু হত্যাকাণ্ডের পর আমরা শ্লোগান দিয়েছিলাম, ‘বিচার পাই না, তাই বিচার চাই না৷’ কোন অবস্থায় গেলে একজন সাংবাদিক এই ধরনের শ্লোগান দিতে পারে সেটা আপনাকে বুঝতে হবে৷’’
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কতজন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তার কোনো হিসেব নেই৷ বিভিন্ন মেয়াদের বিচ্ছিন্ন কিছু হিসাব পাওয়া যায়৷ ২০০১ সাল থেকে ২০১৬- এই ১৬ বছরে দেশে ২৩ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন৷ বিএনপির ২০০১-২০০৬ শাসনামলে নিহত হন ১৪ জন সাংবাদিক, আর আহত হন ৫৬১ জন৷ আর ২০০৭ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে নয় বছরে খুন হন নয় জন সাংবাদিক৷ আরেক পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ২৪ বছরে বাংলাদেশে ৩৮ জন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন৷ নির্যাতন বা হত্যাকাণ্ডের এই খতিয়ান পূর্ণাঙ্গ নয়৷ অনেক ঘটনাই রয়ে গেছে আড়ালে৷
সর্বশেষ নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আর ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় একজন সাংবাদিককে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে৷ সেই সাংবাদিক হলেন দীপ্ত টিভির সিনিয়র রিপোর্টার আসিফ সুমিত৷ সেদিনের ঘটনা জানাতে গিয়ে ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘আমি তথ্য নিচ্ছিলাম, ক্যামেরাম্যান ভিডিও করছিল৷ হঠাৎ করেই কয়েকজন আমাকে ঘিরে ধরলো, তারা বললো, আমরা নাকি সত্যি খবর দেই না৷ এরপরই পেটানো শুরু করলো৷ আমার মাথায় চারটি সেলাই দিতে হয়েছে৷ শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমার পক্ষে মামলা করা সম্ভব ছিল না৷ কিন্তু ভিডিওতে তো দেখা যাচ্ছে কারা নির্যাতনকারী৷ পুলিশ চাইলেই তাদের ধরতে পারে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশের কোনো কর্মকর্তা আমার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেননি৷ কেউ গ্রেপ্তার হয়েছে এমন কথাও শুনিনি৷ সাংবাদিক নেতাদের কয়েকজন যোগাযোগ করেছেন৷ আমার অফিস আমার পাশে দাঁড়িয়েছে৷ চিকিৎসার খরচও আমার অফিস বহন করছে৷’’
তবে নির্যাতিত সাংবাদিকের পাশে তার কর্মক্ষেত্র দাঁড়ায়নি এমন দৃষ্টান্তও আছে৷ ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন তৎকালীন একুশে টেলিভিশনের রিপোর্টার নাদিয়া শারমিন৷ বর্তমানে তিনি একাত্তর টেলিভিশনে কাজ করেন৷ ডয়চে ভেলেকে নাদিয়া শারমিন বলেন, ‘‘আমি আমার অফিসের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি৷ উল্টো আমি যেন নিজেই চাকরি ছেড়ে দেই সেই প্রক্রিয়া করা হয়েছে৷ ফলে বাধ্য হয়ে আমি চাকরিটা ছেড়েই দিয়েছি৷ সাংবাদিক নেতাদের কেউ তখন চাকরির বিষয়ে আমার পাশে দাঁড়ায়নি৷ এমনকি আইনজীবী মনজিল মোরশেদ স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্টে একটা রিট করেছিলেন৷ আদালত আদেশ দিয়েছিলেন, আমার চিকিৎসায় যেন বোর্ড গঠন করা হয় আর মামলাটি যেন ডিবিতে নেওয়া হয়৷ মামলাটি ডিবিতে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বোর্ড আর গঠন করা হয়নি৷ পুলিশ বাদি হয়ে তখন একটা মামলা করেছিল৷ ওই বছরের সেপ্টেম্বরে পুলিশ একবার আমার সঙ্গে দেখা করে ফুটেজসহ যা তথ্য ছিল সেগুলো নিয়ে যায়৷ এরপর থেকে আর কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি৷ এমনকি ওই মামলাটির সর্বশেষ কিছুই আমি জানি না৷’’
সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়ে সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘যে-ই সুযোগ পাচ্ছে সে-ই সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন করছে৷ সেটা যে শুধু সরকারি দলের লোক তা নয়, ব্যবসায়ীরা করছে, অর্থশালীরা করছে৷ আসলে সাংবাদিকদের খবরটি যাদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে, তারাই এটা করছে৷’’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন মনে করেন নির্যাতনকারীদের কঠোর শাস্তি হলে বারবার নির্যাতনের ঘটনা ঘটতো না৷ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি এই জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী৷ বিচারের জন্য আমাদের বছরের পর বছর ঘুরতে হচ্ছে৷ এই যে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ১২ বছরে পুলিশ ৮৮ বার আদালত থেকে সময় নিয়েছে, অথচ খুনিদের ধরতে পারেনি৷ আমার তো মনে হয়, এই বিচারহীনতার সংস্কৃতিটাই সাংবাদিকতা পেশাকে আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে৷’’
কয়েকদিন আগে নীলফামারীর সৈয়দপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুল মোমিনকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন রংপুরের দৈনিক দাবানলের বিশেষ প্রতিনিধি মোতালেব হক৷ জমি দখল নিয়ে করা সেই প্রতিবেদনের কারণে ক্ষুব্ধ হন মোকছেদুল মোমিন৷ তারপর প্রথমে এক দফা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন মোতালেব৷ তারপর তার ফেসবুক থেকে ছবি নিয়ে তাতে ফটোশপের সহায়তায় জুতোর মালা পরিয়ে পোস্টার বানিয়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়৷ পোস্টারে লেখা হয়, ‘‘চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও হলুদ সাংবাদিক৷’’
আর গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বালু ব্যবসায়ীরা স্থানীয় সাংবাদিক কামাল হোসেনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে৷ তার অপরাধ, জাদুকাটা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সংবাদ পেয়ে ছবি তুলতে গিয়েছিলেন৷ ছবি তোলার এক পর্যায়ে তার ওপর হামলা চালায় বালু ব্যবসায়ীরা৷
বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন যেন নিত্যদিনের ঘটনা৷
শুধু হামলা নয়, প্রচুর মামলারও শিকার হন সাংবাদিকরা৷ ২০২১ সালে শুধু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কমপক্ষে ১ হাজার ১৩৪টি মামলা হয়েছে৷ এই মামলাগুলোর বড় একটা অংশ হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে৷
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে, করোনাকালে এবং এর আগে-পরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সরকারি কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন দল ও বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের রোষানলে পড়ে হামলা, মামলাসহ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২১০ জন সাংবাদিক৷ এর মধ্যে নোয়াখালিতে বোরহান উদ্দিন মোজাক্কির নামে একজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন৷
এছাড়া গত ১৩ এপ্রিল রাতে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সীমান্তবর্তী হায়দারাবাদ এলাকায় তথ্য দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে মাদক ব্যবসায়ীরা৷ তারপর গত ২৩ এপ্রিল র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যায় মহিউদ্দিন হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি রাজু৷
সাংবাদিক নির্যাতিত হলে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম কি সাধারণত পাশে দাঁড়ায়? সাংবাদিকতার শিক্ষক ও আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘দাঁড়ায়৷ কিন্তু সব সংবাদ মাধ্যমের অবস্থা তো একরকম নয়৷ ফলে একেকটা ঘটনায় একেকরকম রেজাল্ট পাওয়া যায়৷ তবে কম-বেশি দাঁড়ায়৷’’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘কোনো সংবাদকর্মী বিপদে পড়লে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট অফিস তার পাশে দাঁড়ায়৷’’ তাহলে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয় না কেন? এর বিষয়ে সাইফুল আলম বলেন, ‘‘মামলা করে দীর্ঘদিন এর পেছনে ঘুরতে হয়৷ বিচার পেতে দীর্ঘ সময় লাগে৷ ফলে অনেক সময় আগ্রহটাই হারিয়ে যায়৷’’
প্রতিবাদে, প্রতিকার দাবিতে চাই ঐক্য
সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে পারলে যে ফল পাওয়া যায় তার উদাহরণ প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলাম৷ দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট লেখার কারণে আমলাদের ‘শত্রু'তে পরিণত হন তিনি৷ পরে তাকে ফাঁদে ফেলে আটকে রাখা হয়৷ মামলা দেওয়া হয়, গ্রেপ্তারও হন৷ পরে সাংবাদিকদের আন্দোলনের মুখে তিনি জামিনে ছাড়া পান৷ তবে তার বিরুদ্ধে করা মামলাটি এখনো চলছে৷ আবার অনেক সাংবাদিক নির্যাতনকারীকে চাপের মুখে শাস্তি দিয়েও পরে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ ২০২০ সালের ১৩ মার্চ মধ্যরাতে বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে তার বাড়ি থেকে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে নির্যাতন করা হয়৷ এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিভাগীয় তদন্ত করে৷ তদন্তে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের দুই বছরের বেতন স্থগিত করা হয়৷ এছাড়া আরডিসি নাজিমের পদাবনতি, এনডিসি রাহাতুলের তিন বছর বেতন বৃদ্ধি স্থগিত এবং রিন্টু বিকাশ চাকমাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়৷ এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করলে নাজিম উদ্দিনের দণ্ড বাতিল করে সরকার৷ এর আগে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকেও দণ্ড থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়৷
সাংবাদিক নির্যাতন এ দেশে নতুন কিছু নয়৷ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগেও এ দেশের সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন৷ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, খোন্দকার আবু তালেব, নিজামুদ্দীন আহমদ, এস এ মান্নান (লাডু ভাই), আ ন ম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, শহীদ সাবের, আবুল বাশার, শিবসাধন চক্রবর্তী, চিশতী শাহ্ হেলালুর রহমান, মুহাম্মদ আখতার, সেলিনা পারভীনরা দেশের জন্য নির্যাতন ভোগ করেছেন, শহিদও হয়েছেন৷ ৫১ বছর হলো দেশ স্বাধীন হয়েছে৷ কিন্তু ৫১ বছরেও সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হয়নি৷
গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০১-২০০৬ সালের মধ্যে ১৪ জন সাংবাদিক নিহত হন৷ কুষ্টিয়ায় মানবকণ্ঠের এক সাংবাদিকের আঙুল কেটে নেওয়া হয়েছিল৷ ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নেতৃত্বে হওয়া সাংবাদিকদের এক সমাবেশে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছিল৷ চট্টগ্রাম স্টেশনে ছাত্রদলের ক্যাডাররা ঢুকে সাংবাদিকদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছিল৷ আর এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকরা ‘গুপ্তচরে’র ‘মর্যাদা’ লাভ করেছে৷ কথায় কথায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হচ্ছে৷
যাদের বিরুদ্ধে খবর হচ্ছে, তারাই হামলা করছে
কেন সাংবাদিকরা ক্ষমতাসীন দল, বিরোধী দল এমনকি হেফাজতে ইসলামের মতো তথাকথিত অরাজনৈতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন পেশাজীবীদের হামলার শিকার হন? ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘যাদের বিরুদ্ধে খবর হচ্ছে, তারাই হামলা করছে৷ যারা অন্যায় করে, দখল করে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তারাই হামলাকারী৷ আবার নির্দিষ্ট কোনো পেশার সবাই কিন্তু এটা করেন না৷ এই খারাপ মানুষগুলোই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কথা বলেন৷ আমরা এখন থেকে শক্তভাবে প্রতিবাদ শুরু করেছি৷’’
কেন সাংবাদিকদের উপর হামলার বিচার না হওয়া প্রসঙ্গে এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সাংবাদিকদের ঐক্যের অভাবের কারণে তারা বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন৷ রাজনৈতিক বিভাজনই সাংবাদিকদের দুর্বল করেছে৷ ফলে তারা জনমত তৈরি করতে পারছে না৷ অথচ সাংবাদিকদের পক্ষেই জনমত তৈরি করা সবচেয়ে সহজ৷ আর সাংবাদিকরা তো সমাজের বিচ্ছিন্ন কেউ না৷ বিচারহীনতার সংস্কৃতি তো আছেই৷ সেই প্রভাব এখানেও পড়ছে৷ ফলে বিচার না হওয়ায় হামলাকারীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে৷’’