উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন
২৩ মার্চ ২০১৪তাঁর চিঠি পেয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক যে-কোনো ধরনের সহিংসতা এবং বিশৃঙ্খলা রোধে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন শনিবার বিকেলে৷ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার বরাবর এ চিঠি দেওয়া হয়েছে৷
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ নির্বাচন কমিশনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইমেল পাঠান শনিবার সকালে৷ তিনি তাতে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কমিশনকে বলেন৷ এরপরই কমিশন তৎপর হয়৷ ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক জানান, সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জেলা প্রশাসক এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে সহিংসতা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে৷
আবদুল মোবারক বলেন, ‘‘উপজেলা নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ত থাকার কথা নয়৷ কিন্তু দলগুলোর ভূমিকা প্রকাশ্য এবং দলগুলোর প্রধান কার্যালয় থেকে প্রার্থীদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে৷ এজন্য সহিংসতা হচ্ছে৷''
ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও আনসার প্রধানদের সঙ্গে কথা হয়েছে৷ কোথাও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলে গুলি করা হবে৷ কেউ কালো হাত বাড়ালে তা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে৷ অন্যায় করলে আইনের আওতায় আনা হবে৷ সহিংসতা হলে সেনাবাহিনী সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে৷ তৃতীয় দফা নির্বাচনে যে সহিংসতা হয়েছে, এবার তা হবে না৷''
আবদুল মোবারক বলেন, ‘‘দলগুলোর আচরণ নির্বাচনে সহায়ক নয়৷ আশা করি রাজনৈতিক নেতাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে৷''
সুশাসনের জন্য নাগরিক, সুজন'এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন শেষ সময়ে হলেও সহিংসতা প্রতিরোধে তৎপর হয়েছে৷ আরো আগে হলে ভাল হত৷ তবে তাদের এই উদ্যোগ কতটুকু কার্যকর হয় তা রবিবারের নির্বাচনে বোঝা যাবে৷''