1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনের চতুর্থ ধাপ

সমীর কুমার দে, ঢাকা২০ মার্চ ২০১৪

আগামী ২৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৬৩ শতাংশই পেশায় ব্যবসায়ী৷ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজন এই তথ্য জানায়৷

https://p.dw.com/p/1BTG5
Bangladesch Parlamentswahlen
উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার বাড়ছেছবি: DW/M. Mamun

প্রতিবেদনে বলা হয়, চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৯৮ জনের বার্ষিক আয় দুই লাখ টাকা বা এর চেয়ে কম৷ তবে এক কোটি টাকার বেশি আয় করেন পাঁচজন৷ আর ২৫৪ জন প্রার্থীর বার্ষিক আয় পাঁচ লাখ টাকার নীচে৷ চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৫৯ দশমিক ৬৩ শতাংশের পেশা ব্যবসা৷ সানজিদা হক জানান, ৬৩ জন প্রার্থী ঋণগ্রহীতা৷ তবে ৩১৬ জনের কোনো ঋণ নেই৷

সহিংসতার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন বলেন, ‘‘হতে পারে নির্বাচন কমিশন গা ছেড়ে দিয়েছে, না হয় নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা না নিতে বাধ্য করা হয়েছে৷ এ জন্য এসব ঘটনা ঘটেছে৷'' তাহলে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘অবশ্যই নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ৷ কারণ এসব নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের কাঁধেই৷ তারা তা সঠিকভাবে করতে পারেনি৷''

সংবাদ সম্মেলনের পর ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘‘উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা ও কারচুপি বন্ধে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে৷ অনেক প্রার্থী ও প্রশাসনের অভিযোগের পরও ইসি কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি৷ বরং তারা নীরব ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে৷ তাদের নীরব ভূমিকায় দেশবাসী উদ্বিগ্ন৷'' তিনি আরও বলেন, ‘‘সকল সংবাদ মাধ্যম যখন শিরোনাম করে বলছে ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে নির্বাচন হয়েছে আর ইসি তখন বলে নির্বাচন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু হয়েছে – এরপরও কী আর বলার থাকে?''

সুজনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ভোট জালিয়াতি রোধে সংবিধান ও রাষ্ট্র যথেষ্ট ক্ষমতা দিলেও কমিশন তা প্রয়োগ করছে না৷ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছে, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যা যা করণীয় তা সবই করতে পারবে৷ এমনকি আইন ও বিধি-বিধানের সংযোজন করতে পারবে৷ কিন্তু গত তিন দফা উপজেলা নির্বাচনে ইসির ভূমিকা দেখে মনে হচ্ছে, সহিংসতা বন্ধে নির্বাচন কমিশন কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাত্‍ক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারছে না৷ নির্বাচনি সহিংসতা বন্ধে কমিশনের নিশ্চুপ ও নিরুত্তাপ ভূমিকা বোধগম্য নয়৷

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) এক মাসের ছুটিতে যাওয়া পরিস্থিতিকে আরো ঘনীভূত করেছে৷ তাঁর মতে, চলমান সহিংসতা বন্ধ করতে না পারলে দেশে নারকীয় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে৷ আর এ পরিস্থিতিতে উগ্রবাদের বিস্তার ঘটাও অস্বাভাবিক নয়৷ তাই দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ধরে রাখতে হলে কমিশনকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে হবে৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘এরশাদের আমলে তামাশার নির্বাচন হতো৷ গত কয়েকটি নির্বাচিত সরকারের আমলে সেখান থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা চললেও এবারের উপজেলা নির্বাচনে আমরা আবার সেই এরশাদের সময়ের দিকে ধাবিত হচ্ছি৷ এটা কারো কাম্য নয়৷''

এদিকে সুজনের সংবাদ সম্মেলনের পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা শুধু কথা নয়, কাজও করি৷ আমরা যদি কাজ না করতাম তা হলে সারা দেশে সুষ্ঠু ভোট হতো না৷'' তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা মনে করি না সহিংসতা বন্ধ করতে পারছি না৷ সহিংসতা বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি৷ আমরা যখন দেখি সহিংসতা বন্ধ হচ্ছে না, তখন আমরা ভোট স্থগিত করি৷'' তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনকে আমরা ফেয়ার করতে চাই৷ ইসি-র পক্ষ থেকে আমরা যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি৷ পুলিশ, ব়্যাব, বিজিবি ও সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে৷ প্রমাণসাপেক্ষে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা বিধি অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেবো৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য