সহিংসতার আশঙ্কায় সতর্ক জার্মানির পুলিশ
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্রেজার জানিয়েছেন, গতবছর নিউ ইয়ার্স ইভ বা বছরের শেষ দিন রাতে বার্লিন ও অন্য শহরে দাঙ্গা হয়েছিল। পুলিশ ও জরুরি পরিষেবার কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবারও একই ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
আরএনডি মিডিয়াকে ফ্রেজার বলেছেন, ‘‘আমি উদ্বিগ্ন। গতবছর কয়েকটি শহরে আমরা অন্ধ রাগ ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখেছিলাম। পুলিশ ও জরুরি পরিষেবার কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন।
২০২২ সালের শেষদিনে শুধু বার্লিনেই অন্ততপক্ষে ৪১ জন পুলিশ অফিসার আহত হয়েছিলেন। কোলোন, হামবুর্গ, ডর্টমুন্ডে জরুরি পরিষেবার কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন।
ফ্রেজার বলেছেন, ''আমার কাছে ওই সহিংসতা অভাবনীয়। এই ঘটনার পিছনে কোনো যুক্তিই দেয়া যায় না।''
বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে
এরপর বাজি বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠেছিল। কিন্তু তা হয়নি। ২৮ ডিসেম্বর থেকে দোকানে বাজি এসে যাবে। ফ্রেজার জানিয়েছেন, এবার সহিংসতা যাতে না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।''
তিনি বলেছেন, ''আমি জানি, রাজ্যগুলি ও পুলিশ এবার আলাদা প্রস্তুতি নিচ্ছে। নতুন করে ঝুঁকি খতিয়ে দেখা হয়েছে। আরো বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। আমি জরুরি পরিষেবা বিভাগের কর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা আমাদের সুরক্ষার জন্য নিজদের জীবন বাজি রাখেন।''
জার্মানির পুলিশ ইউনিয়ন দাবি করেছে, জরুরি পরিষেবার কর্মীরা যদি আক্রান্ত হন, তাহলে আক্রমণকারীদের কড়া শাস্তি দিতে হবে।
চরমপন্থিদের নিয়ে চিন্তা
ফ্রেজার বলেছেন, ''বছরশেষের দিনগুলিতে সহিংসতা বেড়ে যায়। আমাদের পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হবে। এর সঙ্গে চরমপন্থাও মিশে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে যা হচ্ছে, তার আলোতেও পুরো বিষয়টি দেখতে হবে।''
গত জানুয়ারিতে বার্লিন পুলিশ ১৪৫ জনকে গ্রপ্তার করেছিল। বছরশেষের সহিংসতায় ঘটনার জন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাছাড়া ৩৮ জনকে আটকও করা হয়েছিল।
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়, তার মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ জার্মান নাগরিক ও তাদের বয়স ২১ বছরের কম। জার্মানিতে অনেকেই এই ঘটনায় দায় অভিবাসনকারীদের উপর চাপিয়ে দেয়। কিন্তু সরকারের সরকরের বৈষম্য বিরোধী কমিশনের প্রধান ফেরডা অ্যাটাম্যান তখন সাবধান করে দিয়ে বলেছিলেন, এই ধারণার পিছনে কোনো যুক্তি নেই। এগুলি হলো পুরোপুরি বর্ণবাদী প্রতিক্রিয়া।
জিএইচ/এসজি(এএফপি, ডিপিএ)