জার্মানিতে ফিলিস্তিনপন্থি নারীবাদী গোষ্ঠীতে পুলিশি তল্লাশি
২১ ডিসেম্বর ২০২৩বুধবার জার্মানির পুলিশ বার্লিনে ফিলিস্তিনপন্থি ও বামপন্থি নারীবাদী গোষ্ঠী জোরার সদস্যদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায় বলে জার্মান মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে।
জোরা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা চরম বামপন্থি পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন(পিএফএলপি)-কে সমর্থন করে। পিএফএলপি-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে চিহ্নিত করেছে ইইউ ও অ্যামেরিকা।
জোরা পিএফএলপি-র প্রতীক ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ।
তল্লাশি নিয়ে যা জানা গেছে
পুলিশ ট্রেড ইউনিয়ন জিডিপি-র প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বার্লিনের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ তল্লাশি চালায়। তিনি এক্স-এ লিখেছেন, প্রায় দুইশ জন অফিসার এই তল্লাশিতে অংশ নেন।
তারা ছয়টি ফ্ল্যাট, একটি অফিস ও একটি ক্যাফেতে তল্লাশি করেন বলে জানিয়েছে সংবাদপত্র বিজেড।
জার্মান মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ১২ অক্টোবর ইনস্টাগ্রামে জোরা একটি পোস্ট করে। সেখানে বলা হয়, ফিলিস্তিনের মুক্তি ছাড়া নারীদের মুক্তি সম্ভব নয়।
একটি বিবৃতিতে জোরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস পিতৃতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে না। সেরকম কোনো ইচ্ছে তাদের নেই। তাই ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের অংশ হিসাবে পিএফএলপি-র মতো প্রগতিশীল শক্তিকে শক্তিশালী করতে হবে।
পিএফএলপি নারীদের সংগঠিত করা ও তাদের সংগঠনে নিয়ে আসার কাজ অতীতে করেছে।
জোরা সম্পর্কে যা জানা গেছে
নিজেদের ওয়াবসাইটে জোরা তাদের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছে, তারা ইয়ং মেয়েদের স্বাধীন ও পুঁজিবাদ-বিরোধী সংস্থা।
গত ১৫ ডিসেম্বর এই গোষ্ঠী ফিলিস্তিনি সহমর্মিতা ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ক্ষেত্রে জার্মানির দমননীতির নিন্দা করেছিল। তারা বিশেষ করে ফিলিস্তিনপন্থিদের তল্লাশির কথা বলেছিল। তারা জানায়, সামিডুন ফিলিস্তিন প্রিজনার্স নেটওয়ার্ককে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর তল্লাশির সংখ্যা বেড়েছে।
নভেম্বরের গোড়ায় জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায় সামিডুন ও হামাসকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হামাসকে আগেই জার্মানি-সহ অনেক দেশই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে চিহ্নিত করেছিল।
জিএইচ/এসজি(ডিপিএ, ইপিডি)