সহযোগিতার পথে চলবে তুরস্ক ও গ্রিস
১৪ মার্চ ২০২২বেশ কিছুদিন ধরে এই দুই দেশ কখনো সমুদ্র থেকে তেল ও গ্যাস তোলা নিয়ে, কখনো অন্য কোনো বিষয়ে বিরোধে জড়িয়েছে। কিন্তু ইউক্রেন সংকটের পর তুরস্ক ও গ্রিস নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াবার কথা বললো।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান এবং গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস ইস্তানবুলে দুই ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন। সেখানেই তারা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নতি করার বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট অফিস থেকে জারি করা একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকে দুই দেশ নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুফল নিয়ে আলোচনা করেছে। ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই আলোচনা হয়েছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেছেন, ''আমরা এখন বহু চ্যালে়ঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। এখন সবচেয়ে আগে দরকার নিজেদের ঐক্যের উপর জোর দেয়া। যে বিষয়গুলো বিভেদ সৃষ্টি করে, তা এড়িয়ে যাওয়া। আমরা একটা ইতিবাচক কর্মসূচি নিয়ে এগোবার উপর জোর দিয়েছি।''
কেন দুই দেশের সম্পর্কে এত উত্তেজনা?
মূলত জলসীমা ও তেল-গ্যাস নিয়েই দুই দেশের মধ্যে বিরোধ। এছাড়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিষয় নিয়ে, সাইপ্রাসকে দুইভাবে ভাগ করার মতো বিষয় নিয়েও দুই দেশের বিরোধ আছে।
২০২০ সালে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। তুরস্ক ভূমধ্যসাগরে একটি ড্রিলিং জাহাজ পাঠায়। সেটা নিয়ে প্রবল উত্তেজনা দেখা দেয়। তুরস্ক সেই জাহাজটি ফিরিয়ে নেয়ার পর উত্তেজনা কমে। দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয় ২০২১ সালে। কিন্তু সেই আলোচনা বেশিদূর এগোয়নি।
ভবিষ্যতের পথ
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। তা রাতারাতি মিটে যাবে, এমন নয়। কিন্তু সম্পর্ক উন্নতির ভিতটা তৈরি হলো।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের অফিস জানিয়েছে, মতবিরোধ সত্ত্বেও দুই নেতা আলোচনার পথ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর্দোয়ান গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, দুই দেশের নিয়মিত আলোচনায় বসা উচিত।
গ্রিস জানিয়েছে, বিশেষ করে আর্থিক নীতির ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা খুবই জরুরি।
আজারবাইজান থেকে পশ্চিম ইউরোপে গ্যাস পাইপলাইন নিয়ে দুই দেশ সহযোগিতার পথে যাবে বলে ঠিক হয়েছে। রাশিয়ার গ্যাসের উপর থেকে নির্ভরশীলতা কাটাবার জন্য ইউরোপ এই পাইপলাইনের উপর ভরসা করছে।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)