‘সমাবেশ করতে না দেয়া গণতন্ত্র পরিপন্থি’
২৬ ডিসেম্বর ২০১৪বিএনপি বা ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি ঘোষণায় উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে শুক্রবার দুপুর দুটো থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গাজীপুরে সব ধরনের সভা, সমাবেশ কিংবা মিছিল নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন৷ ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এই তথ্যটির সঙ্গে জানতে চাওয়া হয়, ‘‘আপনি কি এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন?''
এই প্রশ্নের উত্তরে নাজমুল হাসান লিখেছেন, ‘‘না, সমর্থন করি না৷ বিএনপিকে সমাবেশের অধিকার দেয়া হোক৷'' শামিমুল হকের মতে হচ্ছে, ‘‘কথা বলার অধিকার দাও? কথা বলার অধিকার না দিয়ে প্রশ্ন করো না৷'' আর কামরুল হাসান মোল্লা ‘‘সর্বদা বাক স্বাধীনতার পক্ষে৷''
ডয়চে ভেলের আরেক পাঠক তুহিন লিখেছেন, ‘‘যদি দেশ স্বাধীন হয়ে থাকে তাহলে বিএনপিকে জনসভা করতে দেয়া উচিত কারণ অনেক আগের থেকেই তাদের সময় সূচি দেয়া৷'' আর হুমায়ুন কবির লিখেছেন, ‘‘এটা কোনো কথা হলো৷ কথা যদি এটাই, তাহলে ডেমোক্র্যাসি কী?'' টুইটারে ‘অভ্রনীল' লিখেছেন:
তবে প্রশাসনে এই সিদ্ধান্তকে সমর্থনও করেছেন কয়েকজন পাঠক৷ পুলক কর্মকার লিখেছেন, ‘‘হ্যাঁ, ভালো প্রশাসনিক ডিসিশন৷'' শাহিনুচ মোহাম্মদ ইসলাম মনে করেন, ‘‘এর ফলে সংঘাত ও হবে না এবং সাধারণ মানুষ ও ভালো থাকবে৷''
কেউ কেউ প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পেছনে আওয়ামী লীগের ইন্ধন রয়েছে বলেও সন্দেহ করছেন৷ স্নিগ্ধা আক্তার স্নেহা এই বিষয়ে লিখেছেন, ‘‘প্রশাসনতো আওয়ামীলিগের পক্ষে এই কারণেই এমন করছে৷'' আরিক চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘পুলিশ পড়েছে উভয়সংকটে৷ বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিরে ছাত্রলীগ দিবে বাঁশ৷ আর যদি ছাত্রলীগকে সমাবেশ করতে দেয়া হয় তাহলে বিএনপি ক্ষেপে যাবে৷ উভয় দিক থেকেই পুলিশ পড়েছে ঝামেলায়৷''
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই রাজনীতির অপমৃত্যু হয়েছে৷ দুর্ভাগ্য, অপরাজনীতিকেই এখন রাজনীতি বলে চালাবার চেষ্টা করা হচ্ছে৷''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ