1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সব অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে'

২ জানুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রশংসা করলেও ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নির্বাচনি সহিংসতা, অনিয়ম এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে৷নির্বাচন কমিশন সচিব জানিয়েছেন, সব অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3Av1J
Bangladesch Gebäude der Wahlkommission in Dhaka
ছবি: DW/M. M. Rahman

জবাবে নির্বাচন কমিশন সচিব জানিয়েছেন, সব অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷

ইইউ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়ে নির্বাচনে ভোটারদের উৎসাহ-উদ্দীপনা ও বিরোধী দলের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে৷ তবে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার সমালোচনাও করেছে৷ জানিয়েছে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করার আহ্বান৷

নির্বাচনের দিনের সহিংসতার বিষয় উল্লেখ করে তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘সামগ্রিক নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতা ছিল এবং নির্বাচনি প্রচার ও ভোট দেয়া বাধাগ্রস্ত হয়েছে৷''

বিবৃতিতে বলা আরো বলা হয়েছে,‘‘সংশ্লিষ্ট জাতীয় কর্তৃপক্ষকে এখন অনিয়মের অভিযোগগুলো যথাযথভাবে খতিয়ে দেখতে হবে এবং পুরোপুরি স্বচ্ছতা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করতে হবে৷''

‘নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে অভিযোগগুলো তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া’

এদিকে যুক্তরাজ্যের এশিয়া বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণকে আমি স্বাগত জানাই, কিন্তু আমি জানি, নির্বাচনের আগে কিছু প্রতিবন্ধকতা ছিল৷ ফলে বিরোধীরা নির্বিঘ্নে প্রচার চালাতে পারেনি৷ নির্বাচনের দিন কিছু লোক ভোট দিতে পারেনি৷ আমি নির্বাচন সংক্রান্ত সব ধরনের অভিযোগের স্বচ্ছ সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি৷''

প্রচারের সময় ভয়ভীতি দেখানো এবং সহিংসতার নিন্দা জানান মার্ক৷ নির্বাচনের দিন হতাহতের ঘটনায় মার্ক উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন,‘‘মতবিরোধ নিরসন এবং বাংলাদেশের জণগণের জন্য ভালো এমন কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার এবং বিরোধী দলের একসঙ্গে কাজ করা জরুরি৷''

আর একাদশ জাতীয় নির্বাচন সফল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের প্রশংসা করলেও নির্বাচন নিয়ে সব ধরনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমশিনকে আহ্বানও জানিয়েছে৷

দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র রবার্ট পালাদিনো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘আমরা নির্বাচনের আগে হয়রান ও সহিংসতার নির্ভরযোগ্য খবর পেয়েছি৷ বিরোধী দল ও তাদের সমর্থকদের স্বাধীনভাবে সভা, মিছিল ও প্রচার কঠিন হয়ে পড়েছিল৷ নির্বাচনের দিন কিছু অনয়িম ও ভোটারদের ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখার খবরে আমরা উদ্বিগ্ন৷ এর ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে৷''

পালাদিনো বলনে, ‘‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী যুক্তরাষ্ট্র৷ অনেক বাংলাদেশি মার্কিন নাগরকিত্ব পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন৷ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ভবষ্যিৎ ও গণতান্ত্রকি উন্নয়নে আরো বিনিয়োগ করতে চায়৷''

‘সহিংসতা ও নিহতের ঘটনা তদন্ত করার জন্য পুলিশের আইজিকে বলেছি’

জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ (জানিপপ)-এর চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ইইউ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী৷ তারা নির্বাচনের এক ধরনের লেজিটিমেসি চায়৷ তারা যে বিষয়গুলো তুলেছেন, উদ্বেগ জানিয়েছেন তা অযথার্থ নয়৷ আমরা জাতীয় পর্যবেক্ষক হিসেবেও বিষয়গুলো দেখেছি। এখন নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে এই অভিযোগগুলো স্বচ্ছতা ও নিপেক্ষতার সাথে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া৷ শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা আবার না ঘটে, সে ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়াও দরকার৷''

ইইউ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের অনিয়ম, সহিংসতা, ভোটদানে বিরত রাখা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে অভিযোগ তদন্তের যে আহ্বান জানিয়েছে, তা নিয়ে ডয়চে ভেলে'র সঙ্গে কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ৷ তিনি বলেন, ‘‘এরই মধ্যে আমরা এসব অভিযোগ তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছি৷ বিশেষ করে সহিংসতা ও নিহতের ঘটনা তদন্ত করার জন্য আমরা পুলিশের আইজি মহোদয়কে বলেছি৷ আমরা চিঠিও দিয়েছি৷ আহত এবং নিহত হওয়ার ঘটনার তালিকা করে প্রত্যেকটি ঘটনা তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি৷''

প্রসঙ্গত, নির্বাচনের পরদিনই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা ও বলেছেন যে,  নির্বাচন সংক্রান্ত সব অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য