নির্বাচনি সহিংসতায় ২১ দিনে নিহত ২২!
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নির্বাচনি সহিংসতায় আহত আওয়ামী লীগ কর্মী ইসমাইল হোসেন (৫০) সোমবার সকালে মারা যান৷ ফলে এ নিয়ে ভোটের দিনের সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮৷
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, ১০ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৫৬ জন প্রার্থী (বেশিরভাগ বিএনপির, জাপা, সিপিবি ও বাম দলের তিনজন) হামলার শিকার হয়েছেন ও এসব হামলায় মোট ২,১৩২ জন আহত হয়েছেন৷
গত ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ-এর পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা প্রসঙ্গে ডয়চে ভেলেকে বলেছিলেন, ‘‘সাধারণত বাংলাদেশের পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোতে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা গড়ে ৯০, এবার সে তুলনায় নিহতের সংখ্যা অনেক কম৷''
‘ক্রিয়েটিং প্যানিক: বাংলাদেশ ইলেকশন ক্র্যাকডাউন অন পলিটিক্যাল অপন্যান্টস অ্যান্ড ক্রিটিকস' শিরোনামে ৩৭ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) বলছে, এবারের নির্বাচনে শুধুমাত্র ৯ থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৭টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, এতে চার ব্যক্তি নিহত হয়েছেন ও ৫৬০ জন আহত হয়েছেন৷
শেষ সপ্তাহে কমেছে সংঘাত
প্রচারণার শেষ সপ্তাহে বিজিবি ও সেনা মোতায়েনের ফলে সংঘাতের ঘটনা কমেছে৷ জাতীয় গণমাধ্যমগুলোয় পরিবেশিত খবর অনুযায়ী প্রচারণার শেষ সাত দিন, অর্থাৎ ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সহিংসতায় ৩৮০ জন আহত হন৷
প্রচারণার শেষদিনে ৭ হামলা এবং তাতে আহত হন ৮৬ জন৷ নির্বাচনি প্রচারণার শেষদিনে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সেনবাগ, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও মানিকছড়ি এবং চট্টগ্রামের পটিয়া ও বাঁশখালীতে নির্বাচনি প্রচারণাকে ঘিরে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে৷ এতে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৮৬ জন নেতা-কর্মী আহত হন৷
২৬ ডিসেম্বর ভালুকা, সাতক্ষীরা ১, ২ ও ৪ আসনে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ ভালুকায় সাংবাদিক ও পুলিশসহ ১৯ জন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মী আহত হন৷ অন্যদিকে পাবনায় বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমানকে ছুরিকাঘাত করা হয়৷ হামলায় মোট ১৪ জন আহত হয়৷ হামলার অভিযোগ এ সময় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে৷ একইদিনে আওয়ামী লীগের রাঙ্গামাটি কার্যালয়ে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা৷
২৫ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি, পঞ্চগড়, সাতক্ষীরা, যশোর ও বগুড়ায় সহিংসতার ঘটনায় ২০ জন আহত হন৷ এছাড়া এদিন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায়ের ওপর হামলা হয়৷ এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা ৩০ নেতা-কর্মী আহত হন৷
গত ২৪ ডিসেম্বর বিএনপি প্রার্থীসহ, ১৩২ জন আহত হন৷ নোয়াখালী, শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর, নাটোর, চাঁদপুর, নরসিংদি, শেরপুর, বরিশাল, খুলনায় এসব হামলার ঘটনা ঘটে৷ এদিন শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী মিয়া নূরউদ্দিন অপু প্রচারণার সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন৷ এ দিন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের ওপরও হামলা হয়৷ সেই ঘটনায় পাঁচজন বিএনপি নেতা-কর্মী আহত হয় বলে জানা গেছে৷ সেদিনই ঢাকা-১ (নবাবগঞ্জ-দোহার) আসনের নবাবগঞ্জের যমুনা টেলিভিশন ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে৷ এতে কমপক্ষে ১০ জন সাংবাদিক আহত হন৷
২৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের বিএনপি প্রার্থী কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহারের গাড়িবহরে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে৷ এতে ১৬ জন গুরুতর আহত হন৷
২২ ডিসেম্বর নোয়াখালীর সুবর্ণচরে হামলার ঘটনায় বিএনপির ২০ ও আওয়ামী লীগের ১১ জন কর্মী আহত হন৷ এদিন জামালপুরের মেলান্দহে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ৷ একই দিনে নরসিংদীতে বিএনপি প্রার্থী মঞ্জুর এলাহীর প্রধান নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলায় মাহিয়া (৮) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রী গুলিবিদ্ধ ও ১০ জন আহত হয়৷
নির্বাচনি প্রচারণার শেষ সপ্তাহে সবচেয়ে কম হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে ২১ ডিসেম্বর৷ সেদিন চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর মিছিল এবং সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটে৷ এতে ১৩ জন আহত হন৷ এছাড়া চট্টগ্রামের পৌরসভা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. ইউসুফ (২৭) গুলিবিদ্ধ হন৷
দ্বিতীয় সপ্তাহে হামলা পালটা হামলার তাণ্ডব
প্রচারণার দ্বিতীয় সপ্তাহটি কেটেছে হামলা-পালটা হামলা, অগ্নি সংযোগ ও মামলায়৷ শুধু ১৭ ডিসেম্বরই বিভিন্ন স্থানে হামলায় ১৩ প্রার্থী ও ৮৭৫ নেতা-কর্মী আহত হয়৷ ফলস্বরূপ সহিংসতা রোধে ১৮ ডিসেম্বর থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়৷ এ সপ্তাহে নানা সহিংসতায় আহত হন ১৪১৭ জন৷
২০ ডিসেম্বর সারাদেশে ১২টি নির্বাচনি এলাকায় ঘটে সহিংসতার ঘটনা৷ এতে আহত হন ৭৩ জন৷
১৯ ডিসেম্বর ঢাকা-১৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালামের নির্বাচনি প্রচারণায় হামলার অভিযোগ ওঠে৷ হামলায় প্রচার মাইক কেড়ে নেয়া ও মনির নামে এক কর্মীকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ করেন প্রার্থী নিজেই৷ এছাড়া ৯ জেলায় ১১ হামলার ঘটনা ঘটে৷ এতে ৭৭ জন আহত হন৷ ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও বগুড়াতেও হামলার ঘটনা ঘটে৷
১৮ ডিসেম্বর পিরোজপুর-১ আসনের বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-র প্রার্থী ডা. তপন বসুর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে৷ এতে তিনি আহত হন৷ এছাড়া টাঙ্গাইলের সখীপুরে পুলিশের গাড়িতে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে৷ হামলায় সখীপুর থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ চার জন পুলিশ ও আট জন হামলাকারী আহত হন৷ অন্যদিকে ঢাকা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদের মিছিলে হামলার ঘটনায় ১০ কর্মী নিহত হন৷
১৭ই ডিসেম্বরে ১১ জেলায় কমপক্ষে ২৬টি হামলার ঘটনা ঘটে৷ এর মধ্যে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের মিছিলে হামলার ঘটনা ছিল সর্বাধিক৷ এদিন সর্বোচ্চ ১৩ প্রার্থী ছাড়াও ৮৭৫ জন বিরোধীদলীয় সমর্থক আহত হন৷ একই দিনে হামলা পালটা হামলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতা ও ৭৫ জন কর্মী আহত হন৷
এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম, নরসিংদি, ভোলা, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, বাগেরহাট, নোয়াখালি, নাটোর, রাঙামাটি, ফরিদপুরে
হামলা-পালটা হামলার ঘটনায় ১৮২ জন আহত হন৷
টাঙ্গাইলে লতিফ সিদ্দিকীর গাড়ি বহরে হামলা ছিল সেদিনের সবচয়ে আলোচিত ঘটনা৷
১৫ ডিসেম্বর ফরিদপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী জাফরউল্লাহ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন৷ এদিন শেরপুরের নকলায় নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় ২৫ জন আহত হন৷ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি সদরে নির্বাচনি প্রচারণার সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ একাধিক নেতা-কর্মীকে লক্ষ্য করে ছররা গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে৷ এ ঘটনায় সাতজন আহত হন৷ একই দিনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-লোহাগাড়া) আসনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)-র সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রমের নির্বাচনি প্রচারণায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা৷ এ ঘটনায় অলি আহমদের ছেলেসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন৷
১৪ ডিসেম্বর ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে, এতে ২৫ জন আহত হন৷ এছাড়া ১৪ ডিসেম্বর হাতিয়ায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ৩০ জন আহতের ঘটনা ঘটে৷
শুরুতেই নিহত ৩
প্রচার-প্রচারণা শুরুর দিনেই এক যুবলীগ নেতা নিহতের ঘটনা ঘটে৷ পরের দিন ১১ ডিসেম্বর দুটি পৃথক সংঘাতে আওয়ামী লীগের আরো দুই নেতা নিহত হন৷ এ সপ্তাহে আহত হয় ৩৩৫ নেতা-কর্মী৷
১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর পরের দিন নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষে যুবলীগের এক নেতা নিহত হন৷ মিছিলে হামলার ঘটনায় নোয়াখালীর এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান৷ এছাড়া সে ঘটনায় ৮-১০ জন আহত হন৷ এছাড়া ৮টি জেলায় হামলার ঘটনায় ৫১ জন আহত হন৷
১১ ডিসেম্বর পৃথক দু'টি ঘটনায় আওয়ামী লীগের দুই সদস্য নিহত হন৷ এছাড়া বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা হয়, এতে সাতজন আহত হন৷ এর আগে ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ধাওয়া-পালটা ধাওয়ায় ১৯ জন আহত হন৷
১২ ডিসেম্বর ১৭ জেলায় সহিংসতার ঘটনায় ১৩১ জন আহত হন৷ রাজশাহী,বাগেরহাট, ফরিদপুর, নাটোর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নওগাঁ, নোয়াখালী চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, শেরপুর, মাগুড়া, নেত্রকোনাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে হামলা ও কার্যালয় ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে৷
১৩ ডিসেম্বর ধানের শীষ প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গাড়িবহরে ও জোনায়েদ সাকির মিছিলে হামলা হয়৷ এদিন সারা দেশের ১৬ আসনে হামলা-পালটা হামলার ঘটনা ঘটে, যাতে ১২৫ জন আহত হন৷
হামলার শিকার সংখ্যালঘু পরিবার!
নির্বাচনকে সামনে রেখে বরাবরের মতোই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে৷ বেশ কয়েকটি হিন্দুবাড়িতে আগুন জ্বালানো ও হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ গত ২১ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সিংগিয়া শাহাপাড়া গ্রামের কৃষ্ণ ঘোষের বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা৷
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়ন পরিষদের আলমপুর গ্রামে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয় শিশির শীলের চারটি ঘর৷ এছাড়া সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ধুকুরিয়ায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি জগদীশ সাহার বাড়িতে বোমা হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে গত ১১ ডিসেম্বর৷
৩০ জেলায় অধিক সহিংসতা
সারাদেশের সহিংসতায় ৩০টি জেলার নাম সবচেয়ে বেশি বার উঠে এসেছে৷ এই ৩০টি জেলা হচ্ছে – ঢাকা মহানগর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, জামালপুর, ঝিনাইদহ, ভোলা, চট্টগ্রাম, শেরপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ময়মনসিংহ, ঠাকুরগাঁও, নোয়াখালী, রাজশাহী, যশোর, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, নরসিংদী, নাটোর, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, জয়পুরহাট, মেহেরপুর, রংপুর, পাবনা, সাতক্ষীরা, ফেনী, সিরাজগঞ্জ ও হবিগঞ্জ৷
আওয়ামী লীগের বিবৃ্তি
নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হওয়ার পরপরই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় ৪৪৫ নেতা-কর্মী আহত হন, এছাড়া ১৪৭টি নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়৷
বিএনপির দাবি
এদিকে বিএনপি এক বিবৃ্তিতে দাবি করেছে, গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিরোধী দলসমূহের (যাদের অধিকাংশ বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিশ দলীয় জোটের নেতা-কর্মী) উপর করা ২৮৩৩ হামলায় ১২,৯২৩ জন আহত হয়েছেন৷ ৮ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় ১৫৭৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ একই সময়ে ১৫৫৬৮ জন নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন বলেও দাবি করেছে দলটি৷
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বাংলা ট্রিবিউন, ডেইলি স্টার, প্রথম আলো, জাগো নিউজ, ডেইলি সান